আইএসএল-এর একটি ম্যাচের দৃশ্য। ছবি: এএফপি।
‘কহতে হ্যায়, ফিউচার হাতো মে লিখা হোতা হ্যায়’
ওরা কিন্তু ওদের ভবিষ্যৎ লিখেছে পায়ের কাজে। কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তেই স্বপ্নের ময়দানে নেমে পড়েছে। কারও হাতে ছিল রিক্সার হ্যান্ডল। কিন্তু, স্বপ্নটা ছিল ফুটবলের। কেরলের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বাবার চাষ-আবাদ দেখতে দেখতেও কেউ ভেবেছে ফুটবলার হয়ে ওঠার কথা। দাদুর কড়া শাসন থেকে বাবার সঙ্গে ফুটবল মাঠে লড়ে যেতে যেতে কখনও মনে হয়েছে ‘উফ্ বাবা বড্ড খাটায়’।
কিন্তু, আজকে এসে যেন সবাই ভাবছেন, ভাগ্যিস সেই দিনগুলো ছিল। সে দিনও তো বাবার সঙ্গে চাষের মাঠে নেমে পড়েছিল সে। কে নেই সেই তালিকায়, জেজে, সুনীল থেকে ইউজিনসন, প্রণয়। এক প্রোমোয় উঠে এল সবটা।
আরও পড়ুন
মেঝেয় শুয়ে অ্যাথলিটরা, তীব্র ক্ষোভে বললেন, এটাই কি আমাদের প্রাপ্য?
৪ ডিসেম্বর সুনীলের বিয়ে, পাত্রী সুব্রতর মেয়ে
আর এখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখা যায় ওদের মুখ। ভারতীয় ফুটবলকে বদলে দিয়েছে একটা টুর্নামেন্ট। আইএসএল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ। কখনও কেরলের সিকে বিনিথ তো, কখনও মিজোরামের প্রত্যন্ত গ্রামে জেজে লালপেখলুয়ার হাত ধরে পৌঁছে গিয়েছে ফুটবল। যাঁদের জন্য কখনও গলা ফাটাচ্ছেন এমএস ধোনি তো কখনও অভিষেক বচ্চন। হোলিচরণ নার্জারির হেড যখন প্রতিপক্ষের গোলে ঢুকে যাচ্ছে তখন অসমের গ্রামে বসে তার দাদুর চোখে জল। গ্যালারিতে হোলির জন্য গলা ফাটাচ্ছেন জন আব্রাহাম। এ ভাবেই সারা ভারত মিশে গিয়েছে ভারতীয় ফুটবলে।
দেখুন আইএসএল-এর সেই প্রোমো
গ্রাম থেকে তিনিই একা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় ফুটবলে। সেই অমরেন্দ্র সিংহ যখন মুম্বইয়ের গোলের নীচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন আর তখনই গ্যালারিতে লাফিয়ে ওঠেন বলিউডের অন্যতম নায়ক রনবীর সিংহ। ব্যারাকপুরের বাড়িতে বসে এক বাবা যখন টিভিতে চোখ রাখেন তখন ছেলের মনে পড়ে সেই ছোটবেলা। কী ভাবে প্রণয় হালদারের জীবনে কোচ বাবার হাত ধরে ঢুকে পড়েছিল ফুটবল। শেষে যখন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর পা থেকে ছিটকে আসা বল পেরিয়ে যায় পাড়ার গলি থেকে মানুষের বাড়ির অন্দর— তখনই লেখা হয় নতুন ইতিহাস। আর তখনই বলা যায় ‘ফিউচার হ্যায় ফুটবল’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy