গোয়া বনাম কেরল ম্যাচ। ছবি: ফেসবুক।
গোয়া ১ (জুলিও)
কেরল ২ (রফি, বেলফোর্ট)
ফতোরদার জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে শুরুটা করেছিল গোয়াই। ঘরের মাঠে জ্বলে ওঠার কথাও ছিল। দুই গোলের নিচে দুই বঙ্গ সন্তানের তখন দলের পতন বাঁচানোর লড়াইও ছিল দেখার মতো। কেরলের শেষ রক্ষণ সামলে যখন দেশের সব থেকে অভিজ্ঞ গোলকিপার সন্দীপ নন্দী তখন উল্টোদিকে তাঁকে দেখেই তাঁকে আইডল করে বড় হয়ে ওঠা শুভাশিস রায়চৌধুরী। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে বাজিমাত অভিজ্ঞতারই। গোয়াকে ১-২ গোলে হারিয়ে গোয়ার মাঠ থেকে পুরো পয়েন্ট কেড়ে নিল কেরল।
ম্যাচ শুরুর ২৪ মিনিটের মধ্যেই গোল করে গোয়াকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জুলিও সিজার। বাঁদিক থেকে রিচারলিসনের মাপা ক্রসে সিজারের হেড বাঁচানোর মতো জায়গায় ছিলেন না কেরল গোলকিপার। সঙ্গে কেরল রক্ষণকেও দায়ী করতে হবে। এর পর থেকেই ম্যাচের ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন মেহতাব, রফিকরা। মাইকেল চোপরা এদিন অনেকটাই অফ কালার। কেরলের পর পর আক্রমণের মাঝেই শুভাশিসের দুরন্ত সেভ প্রথম ধাক্কা সামলে নিতে সাহায্য করলেও শেষরক্ষা হল না। এর মাঝেই পেনাল্টিরও দাবী উঠল। কিন্তু রেফারি দেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জিকোর দলকে সমতায় ফেরান মহম্মদ রফি। গোয়ার সামনে আবার সুযোগ চলে এলেও দ্বিতীয় গোল করতে পারেননি সিজার। ৮৪ মিনিটে নিজের সঙ্গে ও দলের সঙ্গে ন্যায় করে যান ফিস বেলফোর্ট। দুই অর্ধেই দুটো নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে তৃতীয় প্রচেষ্টায় জয়ের গোলটি অবশ্য এল তাঁর পা থেকেই। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে আট পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এল কেরালা ব্লাস্টার্স। আবার হেরে সমস্যায় গোয়া। ছয় ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার শেষ নাম জিকোর দলেরই।
আরও খবর
দেবজিৎকে তাতায় মলিনার পেপটক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy