এই জুতো পরেই সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যাবেন ব্রিটেনের অ্যাথলিটরা। ছবি: রয়টার্স
চিনকে হটিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা ক্রীড়া শক্তি হয়ে ওঠা সম্পূর্ণ। সঙ্গে রয়েছে অলিম্পিক্স ইতিহাসে নিজেদের সবচেয়ে বেশি পদক জেতার উল্লাস। এই জোড়া সাফল্য উজ্জাপনে এ বার রিও গেমসের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ‘অন্য আলো’ ছড়িয়ে কার্নিভ্যালের মেজাজে পার্টি করতে তৈরি ব্রিটেন।
তাও আবার জুতোর মাধ্যমে!
শোনা যাচ্ছে, রিও অলিম্পিক্সের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে নাকি বিশেষ ধরনের জুতো পরে অলিম্পিক্স স্টেডিয়ামে ঢুকবেন ব্রিটেনের অ্যাথলিটরা। যে জুতো থেকে ঠিকরে বেরোবে ইউনিয়ন জ্যাকের তিনটে রং— লাল, সাদা আর নীল। সন্ধ্যার অন্ধকারে সমাপ্তি অনুষ্ঠানের মঞ্চ ঝলমলিয়ে উঠবে সেই রংয়ের খেলায়।
সিমন জার্সি নামে যে ডিজাইনার এ বার ব্রিটিশ অ্যাথলিটদের পোশাক তৈরি করেছেন, তাঁর কথায়, ‘‘এটা ব্রিটেনের অসাধারণ পারফরম্যান্সের উৎসব তো বটেই। চিন্তাটার মূলে কিন্তু ব্রাজিলও আছে। ব্রাজিল বললেই নানা রং মনে আসে। আর রিও বলতেই মনে হয় পার্টি, কার্নিভ্যাল, জীবনের উৎসব। তাই আমরাও রিও অলিম্পিক্সের শেষ পার্টিতে নিজেদের রং নিয়ে আসছি।’’
চার বছর আগের লন্ডন গেমসে প্রথমবার রাশিয়া, জার্মানির মতো খেলার দুনিয়ার শক্তিধরদের ছিটকে দিয়ে পদক তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছিল ব্রিটেন। চতুর্থ রাশিয়া যেখানে বাইশটা সোনা জিতেছিল, সেখানে সেবাস্তিয়ান কো-র আয়োজক কমিটিকে উচ্ছ্বসিত করে ঘরের মাটিতে ২৯ সোনা-সহ পঁয়ষট্টি পদক পেয়েছিল ব্রিটেন। কিন্তু তাতেও ৩৮ সোনা-সহ ৮৮ পদক নিয়ে দ্বিতীয় চিনের সঙ্গে ফারাকটা ছিল বিশাল।
চার বছর পর রিওয় এসে কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও (শেষ খবর, ৪৩ সোনা-সহ ১১৮ পদক) চিনকে পিছনে ফেলে দিতে সক্ষম ব্রিটেন। তবে ফারাকটার একটা কারণ যদি ব্রিটিশ খেলাধুলোর মান বজায় রাখা হয়, তবে অন্য কারণটা অবশ্যই চিনের পিছিয়ে পড়া। লন্ডন থেকে ৩৮ সোনা, ২৯ রুপো ও ২১টি ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরেছিল চিন। রিও থেকে কিন্তু তারা ফিরছে ২৬ সোনা, ১৮ রুপো ও ২৬ ব্রোঞ্জ নিয়ে। মোট পদক ৮৮ থেকে কমে ৭০। শেষ দিন যে ক’টা পদকের ফয়সালা বাকি, তা থেকে চিনের লাভের আশা প্রায় নেই। চিনের এক কর্তা স্বীকারও করেছেন, তাঁদের ব্যর্থতার কারণ অন্য দেশগুলোর উন্নতি। বলেছেন, ‘‘অন্যরা এতটা এগিয়ে গিয়েছে, সেটা আমরা আন্দাজই করতে পারিনি।’’
ব্রিটেন আবার বিশাল উন্নতি না করলেও দেশে ফিরছে আগের বারের চেয়ে একটা পদক বেশি নিয়ে। ২৭ সোনা ২২ রুপো ১৭ ব্রোঞ্জ। লন্ডনের তুলনায় সোনা কমলেও তাদের মোট পদক সংখ্যা পঁয়ষট্টি থেকে বেড়ে ছেষট্টি। আর অবশ্যই রয়েছে এতদিনের চিনের প্রাচীর টপকে যাওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy