Advertisement
E-Paper

যুবভারতী ঘাসের হচ্ছে শুনে দারুণ খুশি হাবাস

যুবভারতী থেকে অ্যাস্ট্রোটার্ফ উঠে গিয়ে ঘাসের হচ্ছে শুনে প্রচণ্ড খুশি আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। মঙ্গলবার শহরে পা দিয়ে আটলেটিকো দে কলকাতার কোচ বলে দিলেন, ‘‘ঘাসের মাঠ হলে চোট আঘাত কম হবে। গত বার মাঠ নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তা ছাড়া বাইরের বেশির ভাগ মাঠই ঘাসের। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে মাঠ বদলের জন্য তাই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সেটা এ বার হবে না জেনে ভাল লাগছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৫ ০৩:১৩
শহরে হাবাস। মঙ্গলবার দমদম বিমানবন্দরে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

শহরে হাবাস। মঙ্গলবার দমদম বিমানবন্দরে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

যুবভারতী থেকে অ্যাস্ট্রোটার্ফ উঠে গিয়ে ঘাসের হচ্ছে শুনে প্রচণ্ড খুশি আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। মঙ্গলবার শহরে পা দিয়ে আটলেটিকো দে কলকাতার কোচ বলে দিলেন, ‘‘ঘাসের মাঠ হলে চোট আঘাত কম হবে। গত বার মাঠ নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তা ছাড়া বাইরের বেশির ভাগ মাঠই ঘাসের। অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়ে মাঠ বদলের জন্য তাই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। সেটা এ বার হবে না জেনে ভাল লাগছে।’’
মুম্বইতে ফুটবলার নিলামে যোগ দিতে এবং টিমের প্রস্তুতির ব্যাপারে কথা বলতে মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় পৌঁছে যান গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের কোচ। সঙ্গে আসেন সহকারী কোচ মিগুয়েল ও গোলকিপার কোচ দেশি বখতাওয়ার। কিন্তু শহরে নেমেই সমস্যায় পড়েন তিনি। যথেষ্ট বিব্রতও হতে হয় তাঁকে। তাঁর জামা-কাপড় ও কাগজপত্রের ব্যাগটি দুবাইতে থেকে যাওয়ায়। তা সত্ত্বেও শহরে এসে দুপুরেই কাজে নেমে পড়েন হাবাস। ব্যারেটোর জায়গায় সহকারী কোচ বাছাইয়ের কাজ শুরু করেন। আবেদনকারী চার জনের পরীক্ষা নেন বাইপাসের ধারের হোটেলে বসেই। আটলেটিকো সূত্রের খবর, জহর দাস, গৌতম ঘোষ, প্রশান্ত চক্রবর্তী ও বাস্তব রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ বিমানবন্দরে নেমে বৃষ্টি দেখে কিছুটা অবাকই হয়ে যান হাবাস। বলছিলেন, ‘‘মাদ্রিদে বসেই শুনেছিলাম এখানে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। তা হলে বৃষ্টির মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে এখানে।’’ মার্কি ফুটবলার হিসাবে একজন স্ট্রাইকারই তাঁর পছন্দ মাদ্রিদে বসেই জানিয়েছিলেন কর্তাদের। কিন্তু এ দিন মার্কি ফুটবলার সম্পর্কে একটি কথাও বলতে চাননি কলকাতার কোচ। তবে স্বীকার করে নেন, এ বার যে ভাবে টিম তৈরি হয়েছে তাতে তিনি খুশি। ‘‘এ বার টিম তৈরির সময় আমি নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি। গতবার যে সুযোগ ছিল না। তবে আরও পাঁচ জন ভারতীয় ফুটবলার নিতে হবে নিলাম থেকে। সে জন্যই মুম্বইতে যাচ্ছি,’’ বলেন হাবাস।

তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এ বারও কি ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা করছেন? হাবাস বলে দেন, ‘‘সেটা এখনই বলব কী করে? অনেক নতুন ফুটবলার এ বার টিমে এসেছে। মাদ্রিদে অনুশীলনের পর বুঝতে পারব টিম কতটা তৈরি হল। আর আমি সব সময়ই এক একটা ম্যাচ ধরে এগোই। এ রকম লিগের মাঝপথেও বোঝা যায় না কে চ্যাম্পিয়ন হবে।’’ আজ বুধবার তাঁর সরকারি সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে কলকাতা টিমের চার মালিকই থাকবেন। শুধু তাই নয়, মুম্বইতে ফুটবলার নিলামের সময় হাবাসের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন গোর্কি সদনে দ্য টেলিগ্রাফ দাবার পুরস্কার দিতে এসে সৌরভ বলে দেন, ‘‘মুম্বইতে নিলামের সময় আমি হাবাসের সঙ্গে থাকব। কিপার হিসাবে দেবজিৎ মজুমদার এবং কয়েক জনকে আমরা নেব বলে ঠিক করেছি। তাদের নেওয়ার চেষ্টা করব।’’ কলকাতার অন্যতম মালিক জানিয়ে দেন, মার্কি ফুটবলার হিসাবে চার-পাঁচ জনের একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। সেখান থেকেই কাউকে নেওয়া হবে।

adk coach habas habas yubabharati krirangan original grass
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy