হরিয়ানা সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ ক্রীড়াবিদরা।
কোনও খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চুরি ও খুনের মতো মারাত্মক অপরাধের অভিযোগ থাকলে তাঁর জেল হওয়ার সঙ্গে সরকার থেকে দেওয়া অনুদান কেড়ে নেওয়া হবে। হরিয়ানা সরকার ও তাদের ক্রীড়া দপ্তরের এই অদ্ভুত হলফনামার জন্য বেশ বিপাকে পড়েছেন বজরং পুনিয়া, বিনেশ ফোগাট, নীরজ চোপড়ারা। শুধু বিপাকে নয়। সরকারের দাবিতে বিরক্ত হরিয়ানা থেকে আসন্ন টোকিয়ো অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চলা একাধিক খেলোয়াড়। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টারের সরকার জানিয়েছে অলিম্পিক্সে অংশ নিতে চলা প্রতিযোগীদের মধ্যে কারও বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি মামলা থাকে, তাহলে সেই খেলোয়াড়ের কাছ থেকে আর্থিক অনুদানের পাঁচ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়া হবে। এমনকি কোনও ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক্সের মঞ্চে নিষিদ্ধ ওষুধ সেবন করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাঁর কাছ থেকে আর্থিক অনুদানের পুরো টাকাই নিয়ে নেবে হরিয়ানা সরকার।
অলিম্পিক্সে যাওয়ার আগে প্রত্যেক ক্রীড়াবিদকে ১৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা সব খেলোয়াড় পেয়ে গিয়েছেন। বাকি টাকা অলিম্পিক্স শেষ হয়ে গেলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।
সরকারের হলফনামায়, ‘যৌন হয়রানি’ ও ‘জেল আইন’ এর মতো বাক্য রয়েছে। ফলে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন একাধিক ক্রীড়াবিদ। তাঁদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা করেছেন। কেউ আবার নাম সামনে আনতে রাজি নন। ২০ কিলোমিটার রেস ওয়াকার রাহুল রোহিলা বলেন, “সরকারী হলফনামায় এই ধরণের বাক্য থাকা উচিত নয়। অবিলম্বে বাদ দেওয়া উচিত।” সন্দীপ পুনিয়া আবার বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, “আমরা গর্বিত ভারতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে। আমরা অপরাধী নই। আমাদের সঙ্গে কয়েকজন মহিলা ক্রীড়াবিদ রয়েছে। তাদের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy