স্বপ্নপূরণ থেকে মাত্র একটা ম্যাচ দূরে আর্চার। ছবি রয়টার্স।
বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগেও তাঁর জানা ছিল না, ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন কি না। তাঁকে প্রাথমিক ভাবে পনেরো জনের দলে রাখেননি নির্বাচকেরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জোফ্রা আর্চারকে দলে নিয়েছিলেন তাঁরা। আর এখন বিশ্বকাপ জয়ের থেকে মাত্র একটা ম্যাচ দূরে আর্চার।
সেই একটা ম্যাচ জিততে এখন মরিয়া আর্চার। ইংল্যান্ড শেষ বার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল সেই ১৯৯২ সালে। যখন জন্মও হয়নি ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভুত এই পেসারের। লর্ডসে ফাইনাল খেলতে নামার আগে ঠিক কী অনুভূতি হচ্ছে? আর্চার বলেছেন, ‘‘এখনও যেন সব কিছু স্বপ্ন মনে হচ্ছে। তবে আপনি যত বেশি মাথা ঠান্ডা রাখবেন, তত সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বরাবরই এ রকম। চেষ্টা করি যাতে নার্ভাস না হয়ে পড়ি। কারণ এক বার নার্ভাস হয়ে পড়লে আপনি এমন কাজ করে বসবেন, যেটা আপনার করা উচিত নয়।’’
তার মানে কি সত্যিই আপনি নার্ভাস নন? আর্চার বলেছেন, ‘‘আমি নার্ভাস নই। এমনকি অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগে আমরা যখন সবাই ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসেছিলাম, কাউকে দেখে মনে হয়নি নার্ভাস লাগছে। মাঠে পৌঁছনোর সময় সবাইকে রীতিমতো ফোকাসড দেখিয়েছে। এই সব ছোট ছোট ঘটনা দেখে বোঝা যায়, ছেলেরা কতটা তৈরি।’’
এই বিশ্বকাপে আর্চারের গতির সামনে বারবার সমস্যায় পড়েছেন অনেক ব্যাটসম্যানই। বিশেষ করে তাঁর শর্ট বলের সামনে। যেমন সেমিফাইনালে আর্চারের একটি শর্ট বলের গতি বুঝতে না পেরে চোয়ালে আঘাত পান অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি। যা নিয়ে আর্চার বলেছেন, ‘‘সব সময় ব্যাটসম্যানকে আহত করার জন্য শর্ট বল করা হয় না। ডট বল বা উইকেট তোলার জন্যও শর্ট বল ব্যবহার করা হয়। ব্যাটসম্যানের শরীরে বল লাগলে তখন একটু খারাপই লাগে।’’ বিশ্বকাপে আর্চারের ফর্ম দেখে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন ইতিমধ্যেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, আসন্ন অ্যাশেজ সিরিজেও খেলতে দেখা যাবে এই পেসারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy