প্রতীকী ছবি।
মিটে গেল আইএফএ-র সমস্যা। পরিচালন পর্ষদের সভায় নিজের পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করে নিলেন সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়-সহ তিন যুগ্ম সভাপতি। সোমবার আইএফএ দপ্তরে এই সভায় দুই প্রধানের কোনও প্রতিনিধি না থাকলেও চিঠি পাঠিয়েছিল মোহনবাগান। করোনার কারণে আসতে না পারলেও জয়দীপকে পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করার আবেদন জানান মোহনবাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত। মোট ২২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন এই সভায়। আইএফএ সভাপতি সুব্রত দত্তর অনুরোধে পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করে নেন জয়দীপ।
তবে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই অচলাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পোর্ট ট্রাস্ট ও পিয়ারলেসের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, যদি পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহারই করতে হয় তবে এত দেরি করে কেন? এতে আইএফএ-র অনেকটা ক্ষতি হয়ে এল। সময় কম নিলে এই ক্ষতি এড়ানো যেত। দীর্ঘদিনের এই টালবাহানার ফলে ক্ষতি হয়েছে গোলরক্ষক অ্যাকাডেমির। সমস্যায় পড়েছেন স্পন্সররাও। এ মাসেই কলকাতায় শিবির করতে আসবে ভারতীয় ফুটবল দল। সব মিলিয়ে এক বিরাট সমস্যায় পড়েছিল বাংলার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।
জয়দীপ ফের নিজের কাজে ফিরে যাওয়ায় এই অচলাবস্থা কেটে যাবে বলেই বিশ্বাস আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘অনেকগুলো সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। তবে এবার ধীরে ধীরে তা মিটে যাবে বলেই আশা করছি। বাংলার ফুটবলের স্বার্থে আমরা আবার একসাথে কাজ করব।’’ তবে কী নিয়ে সমস্যা হয়েছিল তা জানতে চাওয়া হলেও পরিষ্কার ভাবে জানাননি তিনি। বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছিলেন সচিব। তবে সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে।’’ তবে এত ছোট সমস্যা মিটতে এতটা সময় লাগল কেন তা নিয়েও মুখ খোলেননি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘দেরী হল কেন তা বলতে পারব না।
সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘বাংলার ফুটবলের উন্নতির জন্য জয়দীপকেই দরকার। ও ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছিল।’’ তবে পদত্যাগের সময় সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জয়দীপ জানান, স্বাধীন ভাবে কাজ করতে না পারার কারণেই এই পদত্যাগ। তবে সেসব বিবৃতিকে আমল দিতে নারাজ সুব্রত বাবু। তিনি বলেন, ‘‘কী বিবৃতি দিয়েছিল জানি না। ওর চিঠির যা বয়ান তাকেই আমরা মান্যতা দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy