Advertisement
২৮ মার্চ ২০২৩
India vs England 2021

শেষ ওভারে জয়, সিরিজ কোহলীদের, ঠাকুরের হার্দিক কৃপাতেও হার ইংল্যান্ডের

ভারত সিরিজ জিতল ঠিকই, কিন্তু খেলা শেষ বল পর্যন্ত গড়ানোর জন্যে দায়ী থাকবে ভারতের উদ্দেশ্যহীন বোলিং এবং হতশ্রী ফিল্ডিং।

ম্যাচ জেতার পর কোহলীর উচ্ছ্বাস।

ম্যাচ জেতার পর কোহলীর উচ্ছ্বাস। ছবি বিসিসিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২১ ২২:৪৪
Share: Save:

সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচ। সেখানেও টসে হার। আবার প্রথমে ব্যাট করতে নামা। দোলযাত্রার দুপুরে ক্রিকেটপ্রেমীরা কার্যত ভেবেই নিয়েছিলেন টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও একদিনের সিরিজ জিতে নিয়ে যাবেন ইংরেজরা। কিন্তু খেলাটার নাম ক্রিকেট। প্রতি মুহূর্ত অনিশ্চয়তায় ভরা। ভারত সিরিজ জিতল ঠিকই, কিন্তু খেলা শেষ বল পর্যন্ত গড়ানোর জন্যে দায়ী থাকবে ভারতের উদ্দেশ্যহীন বোলিং এবং হতশ্রী ফিল্ডিং।

Advertisement

ম্যাচে অন্তত চারটি ক্যাচ পড়ল। এর মধ্যে হার্দিক পাণ্ড্যই ফেললেন দুটি ক্যাচ। প্রথমে বেন স্টোকসের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। এরপর স্যাম কারেনের ক্যাচ ফেলেন। তার মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়েছিলেন মইনকে। শেষের দিকে পাণ্ড্যর ওভারে পরপর দুটি ক্যাচ পড়ল। প্রথমে মার্ক উডের ক্যাচ ফেললেন শার্দূল ঠাকুর। পরের বলেই কারেনের ক্যাচ ফেললেন নটরাজন। শেষ পর্যন্ত কোহলী হাসলেন নটরাজনের জন্যেই। তাঁর বুদ্ধিমানের মতো করা শেষ ওভার জেতাল ভারতকে।

চাপ শুরু থেকে মোটেই কম ছিল না। কিন্তু সেটাকে দেখাতে রাজি ছিলেন না ভারতীয় ক্রিকেটাররা। রোহিত শর্মা এবং শিখর ধওয়ন অনেক দিন পরে শতরানের জুটি গড়লেন। পেরিয়ে গেলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং ম্যাথু হেডেনকে। তাল কাটল তারপরেই। ৩৭ রানের মাথায় রোহিতকে (৩৭) তুলে নিলেন রশিদ। দু’ওভার পরেই ফিরলেন ধওয়নও (৬৭)। তার পরের ওভারেই কোহলী (৭)।

চালকের আসনে থাকা ভারত তখন কার্যত কাঁপছে। ছন্দে থাকা রাহুলও এই ম্যাচে দাগ কাটতে পারলেন না। ফিরলেন ৭ রান করে। ক্রিজে তখন ২৩ এবং ২৭-এর দুই তরুণ। কিন্তু তারুণ্যে ভরসা রাখা ভারতীয় ক্রিকেট ভয় পাবেই বা কেন। আগের ম্যাচে অর্ধশতরান করা ঋষভ পন্থ শুরু থেকেই চালাচ্ছিলেন। কম যাননি হার্দিকও। ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায় মইন আলিকে পরপর তিনটি ছক্কা মারেন।

Advertisement

পন্থ এবং হার্দিক ৩০০-র দিকে নিয়ে গেলেন ভারতকে। ২৭৬ রানের মাথায় হার্দিক ফিরে যাওয়ায় সামান্য সংশয় তৈরি হয়েছিল। তা-ও কাটিয়ে দিলেন তাঁর দাদা ক্রুণাল (২৫) এবং শার্দূল ঠাকুর (৩০)। তবুও শেষ দিকে ইংরেজরা আচমকা জেগে ওঠায় ভারতকে থামতে হল ৩২৯ রানেই। হার্দিক নিজেই বিরতিতে এসে বলে গেলেন আর কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকলে ৪০০-ও তুলে ফেলতে পারতেন তাঁরা।

ব্যাটিংয়ের মতো ভারতের বোলিংটাও ভাল হয়েছিল। প্রথম দু’বলে ভুবনেশ্বর কুমারকে দুটি চার মারেন জেসন রয়। পঞ্চম বলে আরও একটা। ওভারের শেষ বলে রয়কে দুরন্ত ইনসুইঙ্গারে তুলে নেন ভুবনেশ্বর। গত দু’ম্যাচে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জনি বেয়ারস্টোও ফেরেন ১ রান করে।

ইংল্যান্ড যে এত দূর পৌঁছল তার পিছনে দায়ী মাঝের ওভারগুলিতে ভারতের উদ্দেশ্যহীন বোলিং এবং হতশ্রী ফিল্ডিং। স্টোকস আউট হওয়ার পর থেকেই ভারতীয়দের বোলিংয়ে ঝাঁঝ আচমকাই গায়েব হয়ে গেল। ভুবনেশ্বর, শার্দূল, প্রসিদ্ধ, হার্দিক কেউ তখন দিশা পাচ্ছেন না।

ইংরেজদের হয়ে উইকেটে যে-ই এসেছেন তিনিই নিজের অবদান রাখার চেষ্টা করে গিয়েছেন। লিয়াম লিভিংস্টোন (৩৬), মইন আলি (২৯), আদিল রশিদ (১৯), মার্ক উড (১৪) — রানের সংখ্যা বেশি না হলেও যে ভাবে চাপের মুখে ব্যাট করে গিয়েছেন তা প্রশংসাযোগ্য। আলাদা করে বলতেই হয় কারেনের কথা। ভারতের মুখের গ্রাস কার্যত কেড়েই নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারলেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.