ছবি পিটিআই।
প্লে-অফের আশায় প্রহর গুণছেন আন্দ্রে রাসেল। যাতে গ্রুপ পর্বের হতাশা তিনি মিটিয়ে নেওয়ার সুযোগও পান। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে পুরনো সেই রাসেলের ঝলক দেখা গিয়েছে। ম্যাচ শেষে রাসেলকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘এই মরসুমে সে ভাবে জ্বলে উঠছেন না কেন?’’ রাসেলের উত্তর, ‘‘যখনই রক্ত গরম হচ্ছে, আউট হয়ে যাচ্ছি। যখন মনে হচ্ছে ছন্দে ফিরে গিয়েছি, ঠিক তখনই উইকেট দিয়ে আসছি।’’ চলতি মরসুমে দশ ম্যাচ খেলে রাসেলের রান ১১৭। কেকেআর যদি প্লে-অফে যায়, তবেই এই পরিসংখ্যান বদলানোর কিছুটা সুযোগ পাবেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। রাসেল যদিও চোটমুক্ত। বলেছেন, ‘‘হ্যামস্ট্রিংয়ে বড় চোট পেয়েছিলাম। আট সপ্তাহ বাইরে থাকতে হতে পারত। কিন্তু শেষ দু’সপ্তাহে আমার খুব ভাল চিকিৎসা হয়েছে। ম্যাচের দিন সকালে দেখলাম বল করতেও সে রকম সমস্যা হচ্ছে না। প্লে-অফের স্থান পাকা হয়ে গেলে অবশ্যই খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’’
নাইট অধিনায়ক অইন মর্গ্যান জানিয়ে দিয়েছেন, যতটা সম্ভব তা করে দেখিয়েছেন প্রত্যেকে। বাকিটা ঈশ্বরের হাতে। রাজস্থানের বিরুদ্ধে তিনিও এ বারের সর্বোচ্চ রান পেয়েছেন (অপরাজিত ৬৮)। প্লে-অফে সুযোগ পেলে এই ছন্দ ধরে রাখবেন। মর্গ্যান যদিও প্রশংসা করেছেন দীনেশ কার্তিকের দুরন্ত ক্যাচের। রবিবার উইকেটকিপার হিসেবে আইপিএলে সর্বোচ্চ ক্যাচের নজির গড়লেন কার্তিক। ছাপিয়ে গেলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকেও। কার্তিকের ক্যাচের সংখ্যা ১১০। ধোনির ১০৯। কার্তিকের প্রসঙ্গে মর্গ্যান বলেন, ‘‘অসাধারণ ক্যাচ। স্টোকস যে ভঙ্গিতে ইনিংস শুরু করেছিল, মনে হচ্ছিল হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যেত পারে। কার্তিকের ওই ক্যাচ কিন্তু দলের মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।’’
৩৪ রানে চার উইকেট পেয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন প্যাট কামিন্স। তিনি জানিয়েছেন, ইনিংস শুরুর প্রথম দু’টি বল তিনি ভাল করতে পারেননি। কামিন্সের কথায়, ‘‘শুরুটা ভাল হয়নি। কিন্তু নিজের হাত থেকে সেরা বলটা বার করার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আমিও ধৈর্য ধরে সেটাই করে গিয়েছি। পিচ থেকেও কিছুটা সাহায্য পেয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy