Advertisement
E-Paper

‘মাঁকড়’ নয়, ‘ব্রাউন’ আউট বলছেন গাওস্কর, কেন জানেন?

অশ্বিনের ডেলিভারির সময়ে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালোর ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ। অশ্বিন তাঁকে সতর্ক করে দেন। ম্যাচটায় ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন সুনীল গাওস্কর। গোটা ঘটনার সময়ে তিনি একবারের জন্যও মাঁকড়  শব্দটা ব্যবহার করেননি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ১৯:২০
বিনু মাঁকড়ের অসম্মান সহ্য করতে পারেন না সুনীল গাওস্কর।

বিনু মাঁকড়ের অসম্মান সহ্য করতে পারেন না সুনীল গাওস্কর।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর-দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে অ্যারন ফিঞ্চকে ‘মাঁকড়ীয় পদ্ধতিতে’ আউট করেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিনের ডেলিভারির সময়ে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালোর ওপেনার। দিল্লির অফ স্পিনার তাঁকে সতর্ক করে দেন। ম্যাচে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন সুনীল গাওস্কর। গোটা ঘটনার সময়ে তিনি একবারের জন্যও মাঁকড় শব্দ ব্যবহার করেননি। উল্টে বলেছিলেন, “অশ্বিন ট্রায়েড টু ব্রাউন হিম।”

মাঁকড়ের নাম না নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার ব্রাউনের নাম কেন নিয়েছিলেন গাওস্কর? এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রাক্তন ওপেনার তা পরিষ্কার করে দিয়ে বলছেন, “বিনু মাঁকড় ভারতীয় ক্রিকেটের একজন কিংবদন্তি, দুর্দান্ত অলরাউন্ডার। ভারতকে বহু ম্যাচ তিনি জিতিয়েছেন। তাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে সম্পূর্ণ অন্য কারণে। গোটা বিশ্ব মনে করে অখেলোয়াড়োচিত মনোভাবের পরিচয় দিয়েছিলেন মাঁকড়। একজন ভারতীয় কিংবদন্তিকে অসম্মান করা হবে এটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। ভারতীয় মিডিয়া যখন এই শব্দটা ব্যবহার করে তখন আমি বিস্মিত হই। এতেই প্রমাণিত হয় দেশের কিংবদন্তির উপরে কোনও শ্রদ্ধাই নেই। টিভিতে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ে আমি বলেছিলাম, অশ্বিন ট্রায়েড টু ব্রাউন হিম। কারণ ১৯৪৭ সালে দোষটা ছিল বিল ব্রাউনের। বিনু মাঁকড়ের কোনও দোষ ছিল না।”

আরও পড়ুন: চোটের জন্য এ বারের আইপিএল শেষ আলি খানের

বোলার বল করার আগে নন-স্ট্রাইকার্স এন্ডের ক্রিজ ছেড়ে ব্যাটসম্যান বেরিয়ে এলে, তাকে রান আউট করাই যায়। একেই বলে মাঁকড়ীয় আউট। ১৯৪৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টে বিল ব্রাউনকে এ ভাবেই আউট করেছিলেন বিনু মাঁকড়। তার পর থেকেই বিশ্বক্রিকেটে এই ধরনের রান আউট ‘মাঁকড় আউট’ নামে পরিচিত।

গাওস্কর মনে করেন অস্ট্রেলীয়রা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেননি। তিনি বলেছেন, “অস্ট্রেলীয়রা আর কবে শিখবে? এর আগে ১৯৪৭ সালে বিল ব্রাউনের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা হয়েছিল। এখন ২০২০ সাল। এত বছরের পরেও সহজ জিনিসটা শিখল না অস্ট্রেলীয়রা। সহজ ব্যাপার হল, বোলার যখন বল করছে, তখন তার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। বোলারের হাত থেকে বলটা বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত। বোলারের দিকে না তাকিয়ে ব্যাটসম্যানের দিকে তাকিয়ে থাকা কখনওই উচিত নয়। ফিঞ্চ বোলারের দিকে না তাকিয়ে ব্যাটসম্যানের দিকেই তাকিয়ে ছিল। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল। আইন একদম পরিষ্কার।”

নন স্ট্রাইকার্স এন্ড থেকে ব্যাটসম্যান বেরিয়ে গেলে তাকে কি সতর্ক করে দেওয়া উচিত? গাওস্কর পাল্টা বলেন, “বোলারকে ছক্কা মারার আগে কি ব্যাটসম্যান বলে আমি ছক্কা মারব। বাউন্সার বা গুগলি দেওয়ার আগে বোলার কি ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করে দেয়? তাহলে এ ক্ষেত্রে আগে ব্যাটসম্যানকে কেন সতর্ক করতে হবে?”

IPL 2020 Bill Brown Sunil Gavaskar Mankading
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy