ফাইল চিত্র।
আইপিএলের লিগ পর্ব শেষ হওয়ার আগের দিন, আজ বৃহস্পতিবার দুটো ম্যাচ খেলা হবে। যার মধ্যে সবার নজর থাকবে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের উপরে। তা বলে চেন্নাই সুপার কিংস বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচটা ছোট করে দেখছি না। গ্রুপের প্রথম দুটো দল কারা হবে, তা ঠিক হয়ে যেতে পারে ওই ম্যাচে। কিন্তু বেশি আগ্রহ কলকাতা ম্যাচ ঘিরেই। ওই ম্যাচের পরে আমরা হয়তো জেনে যাব, চতুর্থ দল হিসেবে কারা এ বার প্লে-অফে যাচ্ছে।
কলকাতা জিতলে ওরাই প্লে-অফে চলে যাবে। কারণ নেট রান রেটে কেকেআর অনেক এগিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের চেয়ে। যে কারণে হয়তো মুম্বইকে এমন একটা ব্যবধানে শেষ ম্যাচে জিততে হবে, যেটা এই ধরনের সংক্ষিপ্ত পরিসরের খেলায় সম্ভব নয়। মানছি, রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দারুণ খেলল মুম্বই। ওদের মাত্র ৯০ রানে আটকে রাখল। তার পরে ৮.২ ওভারে ওই রান তুলে দিল। কিন্তু ও রকম খেলেও নেট রান রেটে কলকাতার চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে মুম্বই। যে কারণে কলকাতা জিতলে ওরাই প্লে-অফে চলে যাবে।
কলকাতার আসল শক্তি ওদের দুই রহস্য স্পিনারের করা মাঝের আট ওভার। সুনীল নারাইনের অস্ত্র হল ওর নিখুঁত লাইন এবং লেংথ। ব্যাটারদের মারার জন্য একটা আলগা বল দেয় না ও। অন্য দিকে, সি ভি বরুণের স্পিন বুঝতে সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে ব্যাটাররা। কোন দিকে বল ঘুরবে বুঝতে না পেরে ওরা ভুল শট খেলে দিচ্ছে। এই জুটি বুঝিয়ে দিয়েছে, ম্যাচে প্রভাব ফেলতে বিশাল ভাবে বল ঘোরানোর কোনও দরকার নেই। সামান্য একটু ঘুরলেই কাজ হয়ে যায়। তখন ব্যাটের মাঝখানে বল না লেগে কানায় লাগে।
টিম সাউদিও ওর কাজটা ভাল করছে। নতুন বলে রানটা আটকে দিয়ে। এর সঙ্গে যদি শিবম মাভিও ভাল বল করে, তা হলে চার জন ভাল বোলার হয়ে গেল কেকেআরের। কলকাতা নাইট রাইডার্স অবশ্য আন্দ্রে রাসেলের অলরাউন্ড দক্ষতার অভাব টের পাচ্ছে। রাসেল থাকলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বোলারদের ব্যবহার করতে পারত অইন মর্গ্যান।
রাজস্থানের নবাগত বাঁ-হাতি পেসার কুলদীপ যাদবও ভাল বল করল। কিন্তু রাজস্থানের বোলিং আক্রমণে বড্ড বেশি বাঁ-হাতি হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে প্রতিপক্ষ দল পরিকল্পনা সাজিয়ে নিচ্ছে। ঠিক যেমন মুম্বই করল।
অন্য ম্যাচে চেন্নাই যদি জেতে, তা হলে প্রথম দুটো দলের মধ্যে জায়গা করে নেবে। সে ক্ষেত্রে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আর দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচটা হয়ে দাঁড়াবে লিগের দু’নম্বর দল ঠিক হওয়ার দ্বৈরথ।
এ জন্যই আইপিএল বিশ্বের সেরা প্রতিযোগিতা। যেখানে শেষ ম্যাচেও মরণ-বাঁচন লড়াই হয়। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy