নাইট রাইডার্সকে পাঁচটি ছক্কা মেরে জেতালেন রিঙ্কু সিংহ। —ফাইল চিত্র
শেষ পাঁচ বলে চাই ২৮ রান। এমন অবস্থায় কেউই ভাবেননি গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে পাঁচটি ছক্কা মেরে জেতাবেন রিঙ্কু সিংহ। সেটাই করলেন উত্তরপ্রদেশের রিঙ্কু। কেকেআরকে জয় এনে দিলেন তিনি। উল্টো দিকে বল হাতে থাকা তাঁরই রাজ্যের যশ দয়াল তখন বিধ্বস্ত। এক ওভারে পাঁচটি ছক্কা খেয়ে ম্যাচ হারা যে কতটা কষ্টের তা বুঝতে পারছেন তিনি। কিন্তু যশ পর পর পাঁচটি ছক্কা হজম করলেন কী ভাবে? যশের ওই ভাবে পাঁচটি ছয় খাওয়ার কারণ জানালেন তাঁর বাবা চন্দ্রপল।
তিনি বলেন, “বল ফসকে যাচ্ছিল ওর হাত থেকে। যশ বলে যে, ঠিক মতো গ্রিপ হচ্ছিল না। মন্থর বল করার চেষ্টাও করেছিল ও। কিন্তু রিঙ্কু সেটাও ছক্কা মারে। রিঙ্কু সব বলে মারার চেষ্টা করছিল। ওরা একে অপরকে ভাল করে চেনেও। সেই কারণে হয়তো রিঙ্কুর পক্ষে কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল কিছুটা। যশের আগে চেতন শর্মার মতো ক্রিকেটারকেও এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।”
তাঁর কোচ অমিত পলের মতে দিনটা খারাপ ছিল যশের জন্য। অমিত বলেন, “দিনটা ওর ছিল না। খুব ভাল ইয়র্কার করতে পারে যশ। কিন্তু সেই সময় হয়তো চাপে পড়ে গিয়েছিল ও। হয়তো উল্টো দিকে রিঙ্কু থাকার জন্যই চাপ হয়েছিল। যশ জানে যে, রিঙ্কু ওকে অনেক ছোটবেলা থেকে চেনে।”
প্রথমে ব্যাট করে ২০৪ রান তোলে গুজরাত। ঘরের মাঠে দাপট দেখান গুজরাতের ব্যাটাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা ২৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায়। বেঙ্কটেশ আয়ার এবং নীতীশ রানা প্রথমে কলকাতাকে ম্যাচে ফেরায়। দু’জনে ১০০ রানের জুটি গড়েন। তার পরেও ম্যাচটি হেরে যেতে পারত কলকাতা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। সেই ওভারে পাঁচটি ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতান রিঙ্কু। ম্যাচটিই ঘুরিয়ে দেন তিনি।
গুজরাতের পরের ম্যাচ ১৩ এপ্রিল। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে মোহালিতে হবে সেই ম্যাচ। কলকাতার পরের ম্যাচ ১৪ এপ্রিল। ইডেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy