ছবি: আইপিএল
মাঠে ঢোকার আগে এক ঝাঁক গুজরাত টাইটান্স সমর্থক চিৎকার করছিলেন। জিজ্ঞেস করতে বললেন ঋদ্ধিমান সাহা আর মহম্মদ শামির জন্যই এসেছেন তাঁরা। বাংলার দুই ক্রিকেটারের থেকে অনেক আশা ছিল ইডেনমুখী দর্শকের। কিন্তু দু’জনেই হতাশ করলেন।
বল হাতে নিজের প্রথম দু’ওভারে ৩০ রান দিয়েছিলেন শামি। নতুন বলে উইকেট নেওয়াই ছিল যাঁর নিয়মিত কাজ, সেই শামি নিজের ঘরের মাঠে ব্যর্থ। ম্যাচ শেষ করলেন ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে। শামি ব্যর্থ হলেও ইডেনের আশা ছিল ঋদ্ধিকে নিয়ে। বাংলার এক কর্মকর্তার উপর রাগ, অভিমান, বাংলার হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত, এমন অনেক কিছুর জবাব দেখার আশা ছিল ইডেনের দর্শকের। কিন্তু সে আশায় জল ঢাললেন ট্রেন্ট বোল্ট।
ঋদ্ধি এবং শুভমান গিল যখন মাঠে নামছেন, ইডেন চিৎকার করছে। ঋদ্ধির থেকে বড় রান চাইছেন সকলে। নির্বাচকদের জবাব দেওয়ার মঞ্চ নিজের চেনা মাঠে পেয়েছিলেন ঋদ্ধি। কিন্তু সে সব কিছু শেষ হয়ে গেল মুহূর্তের মধ্যে। বোল্টের বলে ব্যাট হাল্কা ছুঁয়ে সঞ্জু স্যামসনের নিরাপদ হাতে জমা পড়তেই হতাশা শোনা গেল ইডেনের কোনায় কোনায়। মাত্র দু’বল খেলে শূন্য রানে ফিরলেন ঋদ্ধি। হতাশ, ধ্বস্ত শরীরটা টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন সাজঘরের দিকে। তাঁর চেনা মাঠ, প্রতিটা ঘাস যাঁর চেনা, সেই ইডেনেই জবাব দেওয়ার মঞ্চ পেয়েও নায়ক হয়ে উঠতে পারলেন না ঋদ্ধি।
আর গ্যালারিতে বসে সেটাই দেখলেন ঋদ্ধির স্ত্রী ও কন্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy