শাকিব আল হাসানের এখনও আইপিএল খেলতে না আসা নিয়ে চর্চা চলছেই। —ফাইল চিত্র
শাকিব আল হাসান, লিটন দাসকে শুরু থেকে পাবে না কলকাতা নাইট রাইডার্স। তা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে কার্যত হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে গিয়েছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নির্বাসিত করার ভাবনাও রয়েছে বিসিসিআই-এর। এই অবস্থায় শাকিবদের নিয়ে প্রথম মুখ খুলল কেকেআর।
কলকাতার নতুন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত জানিয়ে দিলেন, তাঁরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন শাকিবদের সঙ্গে। পণ্ডিত বলেন, ‘‘যে ক্রিকেটাররা এখনও দলে যোগ দিতে পারেনি, তারাও একটা সময় চলে আসবে। হয়তো কিছু ক্রিকেটার এখানে নেই, কিন্তু আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। গত এক মাস ধরেই কথা হচ্ছে আমার। ক্রিকেটই তো খেলছে তারা। এখানে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়ার কিছু তো নেই।”
আইপিএল শুরু হতে আর তিন দিন বাকি। কলকাতা নাইট রাইডার্স নামছে শনিবার। কোচ যে রকম নতুন, তেমনই এ বার নতুন অধিনায়কও বেছে নিয়েছে কলকাতা। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নীতীশ রানাকে। আনকোরা এক জনকে অধিনায়ক হিসাবে বেছে নেওয়ার কারণও জানালেন পণ্ডিত। তিনি বলেন, “নীতীশ দায়িত্ববান। ও অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য। এত বছর ধরে কলকাতার হয়ে খেলছে। সব রকম গুণ রয়েছে নীতীশের মধ্যে। আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে ওর উপর। শুধু আমার নয়, এটা দলের সিদ্ধান্ত। আশা করি নীতীশ নিজের সেরাটা দেবে।”
আইপিএল শুরুর আগে শ্রেয়স আয়ারের চোট। তাঁর বদলে নীতীশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেটা কেকেআরকে চিন্তায় ফেলে দেবে? পণ্ডিত বলেন, “এত দিন যে ভাবে আমি ক্রিকেট খেলেছি, তাতে কোনও কিছুতে পিছিয়ে আসার কথা ভাবি না। যে শক্তি আমার কাছে রয়েছে, তা নিয়েই লড়াইয়ে বিশ্বাসী আমি। শ্রেয়সের না থাকা অবশ্যই বড় ক্ষতি। ও খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য ও নেই। তবে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ফিরবে শ্রেয়স। তখন দলের শক্তি বেড়ে যাবে। আমাদের বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি ফিরবে শ্রেয়স।’’
ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। রঞ্জিজয়ী সেই কোচকে দায়িত্ব দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএল শুরুর আগে নিজের পরিকল্পনার কথা জানালেন পণ্ডিত। সেই সঙ্গে জানালেন আইপিএল তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি তৈরি। জানালেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার কথাও।
পণ্ডিত মনে করেন আইপিএলে তো ক্রিকেটটাই খেলা হবে, তাই আলাদা করে ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি যে ভাবে খেলে এসেছেন, সে ভাবেই খেলবেন। পরিস্থিতি পাল্টাবে, সেই অনুযায়ী নিজেদের খেলার ধরন ঠিক করবেন তাঁরা। পণ্ডিত বলেন, “চ্যালেঞ্জ সব জায়গাতেই থাকে। আইপিএল অন্য ধরনের একটা পরীক্ষা। ঘরোয়া ক্রিকেটের পর এমন একটা জায়গা, যেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটাররা খেলবে। সেখানে কোচিং করানো অবশ্যই অন্য ধরনের একটা পরীক্ষা। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। দেখা যাক কী হয়।”
এ বারের আইপিএলে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসাবে নতুন নিয়ম আনা হচ্ছে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী একজন ক্রিকেটার বদল করা যাবে। সেই সম্পর্কে পণ্ডিত বলেন, “নতুন নিয়মটা খুবই আকর্ষণীয়। কোচ এবং অধিনায়কের ক্ষেত্রে বেশ চ্যালেঞ্জিং বিষয়। নিজেদের মধ্যে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। তবে এটা ঠিক, ম্যাচ যখন খেলা হবে, তখনই এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা সেটার জন্য তৈরি।” দিল্লি ক্যাপিটালসের কোচ রিকি পন্টিং মনে করেন এই নতুন নিয়মের কারণে অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব কমে যাবে। পণ্ডিত যদিও তা মানছেন না। কেকেআরের কোচ বলেন, “একেক জন একেক রকম ভাবে ভাবছে। আমার কাছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হচ্ছে এমন একজন যে, ম্যাচ জেতাতে পারবে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী যে ক্রিকেটারকে প্রয়োজন, সেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হয়ে উঠতে পারে। দলের কাছে সেই ক্রিকেটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy