আইপিএলে এ বার একের পর এক ম্যাচে রানের বন্যা দেখা যাচ্ছে। গত দু’টি ম্যাচে চার বার ২৫০ বা তার কাছাকাছি রান হয়েছে। শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য সে জিনিস দেখা গেল না। মন্থর পিচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে আগে ব্যাট করে ১৯৬/৫ তুলল লখনউ। কেএল রাহুল এবং দীপক হুডা অর্ধশতরান করলেন।
ট্রেন্ট বোল্টকে প্রথম দু’টি বলে চার মেরে লখনউয়ের হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন কুইন্টন ডি’কক। সেই ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তৃতীয় বলেই ডি’ককের স্টাম্প ছিটকে দেন বোল্ট। নিউ জ়িল্যান্ডের পেসারের বল বুঝতেই পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার। পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় লখনউ। এ বার ফিরে যান আগের ম্যাচের শতরানকারী মার্কাস স্টোয়নিস। সন্দীপ শর্মার সুইং বল বুঝতেই পারেননি তিনি।
বিপদের মুখে দলের হাল ধরেন রাহুল এবং দীপক। লখনউয়ের পিচ এমনিতেই মন্থর থাকে। বল পড়ে খুব ভাল ভাবে ব্যাটে আসছিল না। ফলে এই পিচে বড় রান হওয়ার সম্ভাবনা যে নেই, সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। রাজস্থানের বোলারেরাও নিয়ন্ত্রিত বল করছিলেন। তার মধ্যেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রান করতে থাকেন রাহুল এবং দীপক। ৩১ বলে ৫০ করে দীপক ফিরে গেলেও খেলছিলেন রাহুল। ১৮তম ওভারে ফেরেন লখনউ অধিনায়ক। আটটি চার এবং দু’টি ছয়ের সাহায্যে ৪৮ বলে ৭৬ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
রাজস্থানের দুই স্পিনার সাফল্য পাননি। ওভারপ্রতি দশের উপর রান দিয়েও কোনও উইকেট পাননি যুজবেন্দ্র চহাল। রবিচন্দ্রন অশ্বিনও চার ওভারে ৩৯ রান দিয়ে একটি উইকেট পান। চার ওভারে ৪২ রানে একটি উইকেট পেয়েছেন আবেশ খান। সন্দীপ শর্মা দু’টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বল করেছেন।