মুম্বইয়ের হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন আকাশ। নিয়েছেন ১৩টি উইকেট। —ফাইল চিত্র।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের ব্যাটারদের দাঁড়াতেই দেননি আকাশ মাধোয়াল। তাঁর বলের গতিতে হার মেনে আউট হয়েছেন একের পর এক বোলার। পাঁচ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়া আকাশের বলে এর আগেও ভয় পেতেন ব্যাটাররা। জানালেন তাঁর দাদা আশিস মাধোয়াল।
এলিমিনেটরে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ৮১ রানে হারায় মুম্বই। রোহিত শর্মাদের দলের হয়ে আকাশ বল হাতে ঝড় তুলেছিলেন। তাঁর বাড়ি রুরকিতে। আকাশের দাদা বলেন, “এখানে কেউ খেলতেই নিত না আকাশকে। ও বল করতে এলে সকলে ভয় পেত। স্থানীয় প্রতিযোগিতায় খেলতে নিত না ওকে। ভয়ের পরিবেশ ছিল। আকাশ তাই রুরকির বাইরে গিয়ে খেলত। এখন আর টেনিস বলে খেলে না। সে সব এখন অতীত। আকাশ এখন খুব খুশি।”
মুম্বইয়ের হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন আকাশ। নিয়েছেন ১৩টি উইকেট। এর মধ্যে শেষ তিন ম্যাচেই নিয়েছেন ১২টি। আশিস বলেন, “রোহিত শর্মা সকলকে সুযোগ দেন। দলের ক্রিকেটারদের উপর বিশ্বাস রাখেন উনি। নতুন ক্রিকেটার হলে সব সময় তার জায়গা হারানোর ভয় কাজ করে। সেই ভয়টাই রোহিত কাটিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই আকাশ এত ভাল খেলছে।”
আকাশ ইঞ্জিনিয়ার। চাকরিও পেয়েছিলেন। সেই সব কিছু ছেড়ে তিনি এখন নিজের নেশা ক্রিকেটকেই পেশা করে নিয়েছেন। যদিও স্থানীয় প্রতিযোগিতায় আর খেলেন না আকাশ। গত বছরও তিনি মুম্বই দলে ছিলেন। এ বার রোহিত আশ্বাস দিয়েছিলেন যে আকাশকে খেলানো হবে। গত বছর সূর্যকুমার যাদব চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ার পর আকাশকে দলে নেয় মুম্বই। আশিস বলেন, “সূর্যকুমার চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পর আর ১-২ ম্যাচ বাকি ছিল। সেই সময় মুম্বই তাঁর বদলি হিসাবে আকাশকে নেয়। সেই সময় রোহিত বলেছিলেন যে, ২০২৩ আইপিএলে সুযোগ দেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy