ফাইল চিত্র।
এ বারের আইপিএল শুরুর দু’দিন আগে হঠাৎ করে সামনে চলে এল নিরাপত্তার প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে খবর ছড়িয়ে যায়, সন্ত্রাসবাদীরা নাকি ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম এবং ক্রিকেটারদের টিম হোটেলে আগে থেকেই নজরদারি চালু করেছে। এবং সব কিছু খতিয়ে দেখে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন বাহিনীর কাছে এই খবর এসে পৌঁছনোর পরে তারা তা মুম্বই পুলিশকে জানিয়ে দেয় বলে প্রচারমাধ্যমের একটা অংশে
দাবি করা হচ্ছিল।
তবে পরে মুম্বই পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এ রকম কোনও খবর তাদের কাছে নেই। তবে এও বলা হয়েছে, আইপিএলের জন্য নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। স্টেডিয়াম এবং ক্রিকেটারদের হোটেলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনও ত্রুটি থাকবে না। আসন্ন আইপিএলের ৫৫টি ম্যাচ হবে মুম্বইয়ে। যার মধ্যে কুড়িটা হবে ওয়াংখেড়েতে। তবে আইপিএল দলগুলোর কাছে নতুন করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলে খবর। যে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে: এক) আইপিএলের প্রতিটা টিম বাসের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ গাড়ি থাকবে। দুই) টিম হোটেল বা স্টেডিয়ামে গাড়ি রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না। তিন) ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে যাতে প্রয়োজনের সময় তাঁদের দ্রুত বার করে নিয়ে আসা যায়। চার) বাস ড্রাইভার এবং আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য কর্মীকে নজরে রাখা হবে, তল্লাশি করা হবে নিয়মিত। আইপিএল চলাকালীন তাঁদের বদলানো যাবে না। পাঁচ) ক্রিকেটারদের কাছে বাইরে থেকে যদি কোনও অতিথি আসে, তবে আগে থেকে টিম ম্যানেজারের অনুমতি নিয়ে রাখতে হবে। ছয়) পরিচয়পত্র ছাড়া হোটেলের কর্মীরাও ঢুকতে পারবেন না।
কোভিডের জেরে এ বারের আইপিএলের লিগ পর্বের খেলা হবে মহারাষ্ট্রে। মুম্বই এবং পুণের স্টেডিয়ামে। দলগুলো বেশ কিছু দিন আগে থেকেই প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে মুম্বইয়ের বিভিন্ন মাঠে। সব মিলিয়ে আইপিএলের দামামা বেজে গিয়েছে কিছু দিন আগে থেকেই। এর মাঝেই হঠাৎ করে নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠে পড়ে। যদিও মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী শনিবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে আইপিএল। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy