রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
কিছু দিন আগে যে কথা বলেছিলেন রোহিত শর্মা, রবিবার সেই কথাই শোনা গেল মহম্মদ সিরাজের মুখে। আইপিএলে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম তুলে দিতে বললেন তিনি। তাঁর মতে, বোলারদের জীবন কঠিন হয়ে গিয়েছে এই নিয়মের জন্য। তবে অনেকের ধারণা, সিরাজ এ কথা বলেছেন মজা করেই।
‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়মের কারণে অতিরিক্ত একজন ব্যাটার খেলাতে পারছে দলগুলি। সবচেয়ে বেশি লাভবান হায়দরাবাদ। ব্যাটিংয়ের সময় তারা ট্রেভিস হেডকে খেলাচ্ছে। তিনি মারকুটে ইনিংস খেলে বড় রান তুলে দিচ্ছেন। বোলিংয়ের সময় তাঁকে বসিয়ে একজন বোলার খেলানো হচ্ছে।
কেকেআরের কাছে হারের পর সিরাজ বলেছেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম তুলে দিন। বোলারদের কাজ খুব কঠিন হয়েছে। পাটা উইকেটে যে কেউ এসে প্রথম বল থেকে মারা শুরু করে। এ বছরের আইপিএলে ২৭০-২৮০ রান খুবই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।” উল্লেখ্য, গত বছর ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম চালু করা হলেও দলগুলি নিয়ম বুঝতে অনেকটা সময় নেয়। এ বার অনেক বুদ্ধি খাটিয়ে নামানো হচ্ছে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’।
আইপিএলের মাঝেই এক সাক্ষাৎকারে রোহিত বলেছিলেন, “ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মটা আমার খুব একটা পছন্দ নয়। এর ফলে অলরাউন্ডারদের প্রয়োজন কমে গিয়েছে। ক্রিকেটটা এখন ১২ জনের খেলা হয়ে গিয়েছে। এর ফলে ক্রিকেটটা নষ্ট হচ্ছে। দর্শকের জন্য যদিও খুব উপভোগ্য হচ্ছে ব্যাপারটা।”
রোহিতের মতে, এই নিয়মের ফলে ভারতীয় অলরাউন্ডারেরা সুযোগ পাচ্ছেন না। ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো ক্রিকেটারকে দলে নেওয়া হচ্ছে না। শিবম দুবে ব্যাট হাতে রান করলেও বল করছেন না। রোহিত বলেছিলেন, “ভারতীয় ক্রিকেটের দিক থেকে দেখতে গেলে ওয়াশিংটন, শিবমেরা বল করছে না। এটা দলের জন্য ভাল দিক নয়। কী করব জানি না। দলে ১২ জন ক্রিকেটার রয়েছে। খেলার পরিস্থিতি বুঝে এক জনকে দলে আনা হচ্ছে। এটা দেখতে খুব ভাল লাগছে। কিন্তু এই বাড়তি ক্রিকেটার দলে আসার পর থেকে সাত বা আট নম্বরের ব্যাটার সুযোগ কম পাচ্ছেন। আলাদা করে ব্যাটার নামানোর সুযোগও পাওয়া যাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy