একাধিক সমস্যায় হাবাস। -ফাইল চিত্র।
পর পর ম্যাচ। মাইকেল সুসাইরাজ, জবি জাস্টিন, ডেভিড উইলিয়ামসের পরে এটিকে-মোহনবাগানের সাজঘরে অস্বস্তি বাড়িয়েছে জাভি হার্নান্দেজের চোট। দু' সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে তিনি।
জামশেদপুরের কাছে আগের ম্যাচ হেরে অপরাজিত তকমাটাও আর নেই।এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার আইএসএলে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে নামছে এটিকে-মোহনবাগান। সেই ম্যাচে নামার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দু' বারের আইএসএল জয়ী কোচ আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস বলছেন, ‘‘রিকভারির সময় খুব কম।’’
এটিকে-মোহনবাগান কোচ দুষেছেন ক্রীড়াসূচিকে। তিন-চার দিনের ব্যবধানে খেলতে নামতে হচ্ছে কঠিন কঠিন সব ম্যাচ। তার উপরে প্লেয়াররা চোটআঘাতের কবলে। অসহায় হাবাস বলছেন, ‘‘আমাদের হাতে এর কোনও সমাধান নেই। টুর্নামেন্টের যা ক্রীড়াসূচি, সেই অনুযায়ী খেলতে হবে। এত ঘনঘন ম্যাচ খেলতে হলে তা দলের পক্ষেও ভাল নয়। প্লেয়াররা চোট পেয়ে যাচ্ছে, গোয়ার আর্দ্রতায় ভাল খেলা রীতিমতো কঠিন। তা ছাড়া এক জায়গা থেকে আর একজায়গায় যাওয়ার ক্লান্তিও রয়েছে। মনে রাখতে হবে প্লেয়াররাও মানুষ।’’
আরও পড়ুন: প্রয়াত ইটালির ১৯৮২ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক পাওলো রোসি
হাবাসের দলের দুর্বলতা দেখিয়ে দিয়েছে জামশেদপুর এবং তাদের দুরন্ত স্ট্রাইকার ভাল্সকিস। সেট পিস এবং লং বল ফুটবলে বাজিমাত করেছে জামশেদপুর। হায়দরাবাদের কোচ ম্যানুয়েল মার্কেজ রোকা স্পেনের। তিনি অবশ্য লম্বা বলে খেলবেন না। বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেই খেলবে হায়দরাবাদ। এটিকে-মোহনবাগান শিবিরও আগের ম্যাচের দোষ ত্রুটি কাটিয়ে খেলতে নামছে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। এটিকে-মোহনবাগান কোচ বলছেন, ‘‘ছেলেদের উপরে আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ওরা ঠিক আগের দোষ ত্রুটি কাটিয়ে উঠবে।’’
জামশেদপুরের কাছে হারের দিনেও এটিকে-মোহনবাগানের হয়ে গোল করেছেন রয় কৃষ্ণ। কিন্তু জামশেদপুর ডিফেন্ডাররা তাঁকে সব সময়ে কড়া নজরে রেখেছেন। তার ফলে কৃষ্ণকেও আগের মতো বিপজ্জনক দেখায়নি। হাবাস বলছেন, ‘‘সবার সহযোগিতা না থাকলে গোল হয় না। রয় কৃষ্ণ আমাদের দলের সেরা গোলস্কোরার। কিন্তু ওকে সাহায্য করছে বাকিরাও। জামেশদপুরের বিরুদ্ধে কৃষ্ণকে মার্কিং করেছে ঠিকই, তবে পরিস্থিতি নিয়ে আমি এতটুকু চিন্তিত নই।’’
হায়দরাবাদ পয়েন্ট টেবলে ৬ নম্বরে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিজামের শহরের ফুটবল ক্লাব একটা ম্যাচও হারেনি। অন্য দিকে হাবাসের দল নেমে এসেছে তিন নম্বরে। ঘাবড়াচ্ছেন না বিচক্ষণ কোচ। ছেলেদের বলছেন, ‘‘এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো।’’ কোচের শেখানো সেই মন্ত্র নিয়েই হায়দরাবাদ চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি প্রীতম-প্রবীররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy