চেনা-জগতে: ফাঁকা স্টেডিয়ামে শুরু হল কে-লিগ। মাইক্রোফোনে শোনানো হল দর্শকদের উল্লাসধ্বনি। বেঞ্চে মুখাবরণ পরে ফুটবলাররা। এএফপি
করোনা আতঙ্কের আবহে দু’মাস পরে ফুটবল ফিরল দক্ষিণ কোরিয়ায়। শুক্রবার ‘কে লিগ’-এ ম্যাচ শুরুর আগে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে জিয়নবুক মোটর ও সুওন ব্লুউইংসের ফুটবলারেরা যখন মাঠে নামছিলেন, স্টেডিয়াম গমগম করছিল দর্শকদের উল্লাসধ্বনিতে। কিন্তু মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে তো ম্যাচ হওয়ার কথা।
তা হলে? ফুটবল মাঠের আবহ তৈরি করতে আয়োজকেরা রেকর্ড করে রাখা দর্শকের উল্লাসধ্বনি বাজালেন স্টেডিয়ামের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে। শুধু তাই নয়। পুরো ম্যাচেই বার বার শোনা গেল পরিচিত সেই শব্দ।
স্টেডিয়ামের দর্শকশূন্য গ্যালারি ঢেকে রাখা ছিল ব্যানারে। লেখা, ‘দ্রুত দেখা হবে। শক্তিশালী হও।’ চমকের এখানেই শেষ নয়। ফুটবলারেরা ম্যাচ শুরুর আগে সৌজন্য বিনিময় করলেন শুধু মাথা ঝুঁকিয়ে। রিজার্ভ বেঞ্চে বসা ফুটবলার, কোচ, চতুর্থ রেফারি, মেডিক্যাল স্টাফ থেকে মাঠে হাজির অন্যান্যদের সকলেই গ্লাভস ও মুখাবরণ পরেছিলেন। মাঠে নামার আগে প্রত্যেকের থার্মাল চেক করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়া ফুটবল ফেডারেশন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কারও শরীরের তাপমাত্রা যদি ৯৯.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হয়, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নিভৃতবাসে। যদিও কোনও ফুটবলারের শরীরে তাপমাত্রা যদি ৯৯.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে তাঁকে এবং তাঁর সতীর্থ ও বিপক্ষ দলের সকলকেই দু’সপ্তাহের জন্য বিশ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঘরে বসেই ধরে রাখতে হবে মাঠে নামার ফিটনেস, কঠিন পরীক্ষায় ওঁরা
দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল লিগ খুব একটা জনপ্রিয় নয়। কিন্তু করোনার আবহে গোটা বিশ্বের নজর ছিল এই ম্যাচে। বিশ্বের ২০টি দেশে টেলিভিশনে ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনেও শুক্রবার কয়েক কোটি মানুষ সাক্ষী থাকলেন ঐতিহাসিক মুহূর্তের। আগ্রহ ছিল জোসে মোরিনহোর প্রাক্তন সহকারী জোসে মোরায়িসকে নিয়েও। জিয়নবুক মোটরের কোচ এখন তিনি।
ঘরের মাঠে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত গোল না হওয়ার উদ্বেগে মাঝে মধ্যেই মুখাবরণ খুলে ফেলছিলেন মোরায়িস। দলের অন্যান্য সদস্যেরা বার বার তাঁকে সতর্ক করেন। শুধু তাই নয়। ৮৪ মিনিটে লি ডং গোল করেই গ্যালারির সামনে চলে গিয়েছিলেন। তার পরে হাত না মিলিয়ে একে অপরের কনুইয়ে কনুই ঠেকিয়ে অভিনব ভঙ্গিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন তাঁরা। ১-০ জিতে মাঠ ছাড়ার সময়ও জিয়নবুক মোটরের ফুটবলারেরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy