অধিনায়ক কবে হাতে পাবেন সেরা অস্ত্রকে?
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সুনীল নারিনকে ভারতে আনার তোড়জোড় শুরু করে দিল কেকেআর। যাতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে আগামী ৮ এপ্রিল ইডেনে আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই তাঁকে নামানো যায়। সব কিছু ঠিকঠাক চললে নারিনকে ভারতে এনে তাঁর বোলিং অ্যাকশনের বায়োমেকানিক্যাল টেস্ট দেওয়ানোর ব্যবস্থা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি করে ফেলবে নাইট শিবির। কিন্তু তিনি সেই পরীক্ষায় পাস করেন কি না, দেখার।
সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে সাসপেন্ড হতে হয় নারিনকে। পরে নিজের উদ্যোগে ইংল্যান্ডের বায়োমেকানিক্যাল ল্যাবে বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর প্রমাণ দিয়ে আইসিসি-র ছাড়পত্র নিয়ে এলেও এখন বিসিসিআই বলছে, ফের সেই পরীক্ষা দিয়ে তাঁকে আইপিএলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বোর্ডের এই ফতোয়ায় জোরালো ধাক্কা খেয়ে শুরুতে নারিনের এই পরীক্ষা এড়ানোর চেষ্টা চালানো হয়। পরে বোর্ডের অনড় মনোভাবে নারিনকে তড়িঘড়ি ভারতে এনে চেন্নাইয়ে তাঁকে পরীক্ষা দিতে পাঠানোর মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে কেকেআর কর্তৃপক্ষ।
প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, ৫-৬ তারিখ পরীক্ষায় বসতে পারেন নারিন। রাতে শোনা গেল, কেকেআর কর্তৃপক্ষ এত দেরি করার ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক কর্তার দাবি, ‘‘কেকেআর কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি নারিনকে এনে পরীক্ষা দেওয়াতে না পারলে প্রথম ম্যাচ খেলা তার পক্ষে কঠিন হয়ে যেতে পারে। কেকেআর এখন সেই চেষ্টাই করছে।’’
নারিনের ভারতে আসার সময়সূচি জানতে চাইলে কেকেআরের এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বুধবার হয়তো জানা যাবে।’’ কেকেআর সিইওকে মঙ্গলবার সারা দিন ফোনে যোগাযোগ করার বহু চেষ্টার পর রাতে তিনি একটাই কথা বলেন, ‘‘এখনই এই নিয়ে কিছু বলতে পারব না। সময় হলে সব জানাব।’’
জানা গেল, চূড়ান্ত দলের তালিকায় সম্ভবত নারিন থাকছেন। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাশ করলে তো সমস্যা মিটেই গেল। পাশ না করলে দুটো রাস্তা আছে। হয়, নারিনকে দল থেকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে আনার অনুমতি চাইতে হবে। নয়, নারিনকে দলে রেখে তাঁকে অ্যাকশন শোধরানোর জন্য আরও সময় দেওয়া হতে পারে। যাতে পরে ফের পরীক্ষা দিয়ে তিনি আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র পেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy