বিরাট কোহালিকে নিয়ে প্রশ্নটা ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে।
এটা ঠিক যে এই টেস্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমার মনে হয়, বিরাট পুরোপুরি সুস্থ থাকলে তবেই মাঠে নামা উচিত। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সোজা নয়। শুধু বিরাটই সিদ্ধান্তটা নিতে পারবে। বিরাটকে সামনে প্রচুর ক্রিকেট খেলতে হবে। আইপিএলের পরেই রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তা ছাড়া বিরাটকে সেরা পারফরম্যান্স করতে হলেও তো ওর ফিট থাকাটা ভীষণ জরুরি একটা ব্যাপার।
আমার মনে হয় না অস্ট্রেলিয়া ধর্মশালায় অতিরিক্ত এক জন পেসার নিয়ে নামবে। এটা মনে হতে পারে যে ঘাস থাকায় পিচের উপরের অংশটা ধরে রাখার মতো যথেষ্ট আর্দ্রতা থাকবে ধর্মশালায়। কিন্তু পাঁচ দিনের টেস্টে যত খেলা গড়াবে তত কিন্তু স্পিনারদের দাপট দেখা যাবে। তেমনই ভারত পাঁচ বোলারে নামবে কি না সেটা নির্ভর করবে কোহালির ফিটনেসের উপর।
এই টেস্টে ফের আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন কিউরেটর। পিচে ঘাস রাখা কিউরেটরের পক্ষে কিন্তু সহজ হবে না বলেই মনে হয়। তবে পিচের আসল ছবিটা পরিষ্কার হবে টেস্ট শুরুর দিন সকালে। ধর্মশালায় এখনও বেশ ঠান্ডা। আমি অপেক্ষায় আছি জোরে বোলাররা ধর্মশালার পিচ থেক কতটা সুবিধে আদায় করতে পারে সেটা দেখার জন্য। এই প্রথম টেস্ট ম্যাচ হতে যাচ্ছে ধর্মশালার মাঠে। একটা ভাল দিক হল, কিউরেটর বলেছেন পিচে বাউন্স থাকবে। বাউন্স থাকাটা কিন্তু স্পিন আর ব্যাটিং দুটোর জন্যই ভাল।
তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া যে ভাবে হার বাঁচাল তার জন্য ওদের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব প্রাপ্য। রাঁচীতে চতুর্থ দিনের শেষে অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করেনি যে, অস্ট্রেলিয়া এই টেস্টে হার বাঁচাতে পারবে। তবে রাঁচীতে একটা ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, মিচেল স্টার্ক বা কোনও বাঁ-হাতি পেসার না থাকায় অফ স্টাম্পের বাইরে ‘রাফ’ তৈরি হয়নি সে ভাবে। তবুও বলব, শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ডান হাতি ব্যাটসম্যানরা দারুণ ভাবে সামলে দিয়েছে।
পিটার হ্যান্ডসকম্ব আর শন মার্শ অসাধারণ প্রতিরোধ দেখিয়েছে। ওদের ব্যাটিং টেকনিক দেখেও আমি মুগ্ধ। দু’জনের আত্মবিশ্বাসই প্রচুর বাড়বে এ রকম ইনিংস খেলার পর। যেটা শনিবার শুরু হওয়া শেষ টেস্টে নামার আগে ওদের ভাল জায়গায় রাখবে। তবে আমার মনে হয়, রাঁচীতে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছে। ৪৫০ রান তোলার পরে ওদের ভারতকে আরও বেশি চাপে ফেলার সুযোগ ছিল। তবে ভারত টস জিতলে কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এই টেস্টে কাজটা এতটা সোজা হত না।
ভারতের দিকে যত সিরিজ এগোচ্ছে, চেতেশ্বর পূজারা কিন্তু তত ঝলমল করছে। দুটো অনবদ্য ইনিংস খেলল ও। আমি তো বেঙ্গালুরুতে পূজারার ৯০ রানের ইনিংসকে রাঁচীর ডাবল সেঞ্চুরির থেকেও এগিয়ে রাখব। এই টিমে তিন নম্বরে ও কতটা অপরিহার্য, সেটা দেখিয়ে দিয়েছে পূজারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy