এক বছরে ১ লক্ষ ৬ হাজার টাকার কন্ডোম! অনলাইন পণ্যপরিষেবা অ্যাপ সুইগি-ইনস্টামার্টের মাধ্যমে ২২৮ বার জন্মনিয়ন্ত্রক পণ্য অর্ডার দিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন চেন্নাইয়ের এক গ্রাহক। জনপ্রিয় পণ্যপরিষেবা সংস্থার বর্ষশেষের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই চমকপ্রদ তথ্য। অনলাইনে এই কন্ডোম বিকোনোর হিসাব দিল অ্যাপ পণ্যপরিষেবা সংস্থাটি। তার মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণের রাজ্যের ওই গ্রাহক যিনি ২০২৫ সালে ২২৮ বার কন্ডোমের অর্ডার দিয়েছিলেন। গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ১৯টি অর্ডার।
সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া পণ্যের মধ্যে কন্ডোম ছিল অন্যতম। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি ১২৭টি অর্ডারের মধ্যে একটি অর্ডারে যৌন মিলন সংক্রান্ত পণ্য থাকে। সেপ্টেম্বর মাসে সংস্থার অ্যাপের মাধ্যমে কন্ডোম বৃদ্ধি বিক্রি ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই বছরে যা সর্বোচ্চ।
সময়ে-অসময়ে কেনাকাটি করতে কি সর্ব ক্ষণ বাজারে ছোটা যায়? মুম্বইয়ের এক গ্রাহক রেড বুল সুগার ফ্রি পানীয়ের জন্য ১৬.৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। আবার চেন্নাইয়েরই আর এক জন গ্রাহক পোষ্যের খাবারের জন্য ২ লক্ষ ৪১ হাজার টাকার অর্ডার দিয়েছেন ওই অনলাইন পণ্যপরিষেবা সংস্থায়। ক্রেতারা যেমন দুধ, তেল, আটা কিনেছেন, ঠিক তেমনই কিনেছেন লক্ষ লক্ষ টাকার স্বর্ণমুদ্রা। চলতি বছরে এমনই এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন বাণিজ্যনগরীর এক বাসিন্দা। ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি স্বর্ণমুদ্রা অনলাইনের অ্যাপ থেকে কিনে ফেলেছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। আরও মজার মজার তথ্য উঠে এসেছে রিপোর্টে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে সস্তা পণ্য কিনে নজির গড়েছেন বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি। অনলাইন অ্যাপটি থেকে ১০ টাকার প্রিন্ট আউটের অর্ডার দিয়েছিলেন তিনি। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন প্রতি মিনিটে গোলাপের অর্ডার ছিল ৬৬৬টি। এটিই এই বছরের রেকর্ড। শুধু কেনাকাটা নয়, পণ্য সরবরাহকারী কর্মীদের দু’হাত ভরে টিপ্স দিয়েছেন এক ব্যক্তি। বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দা ডেলিভারি কর্মীদের বছরভর মোট ৬৮ হাজার ৬০০ টাকা টিপ্স দিয়েছিলেন বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।