পনেরো বছর বয়সেই ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের বিস্ময় প্রতিভা সে। উত্তরাখণ্ডের লক্ষ্য সেন। জাতীয় ব্যাডমিন্টনের সিনিয়র বিভাগে সদ্য এইচএস প্রণয়ের মতো নামী তারকাকে হারিয়েছে। উঠেছিল ফাইনালেও। অল্পের জন্য হেরে যায় সৌরভ বর্মার কাছে। তাতে অবশ্য দমার কোনও লক্ষণ নেই লক্ষ্যর মধ্যে। উল্টে খিদেটা যেন বেড়ে গিয়েছে। সাফল্যের খিদে।
আলমোড়ার ১৫ বছরের এই বঙ্গ সন্তানের বাবা ধীরেন্দ্র কুমার সেন স্পোটর্স অথরিটি অব ইন্ডিয়ার ব্যাডমিন্টন কোচ। বাবার স্বপ্ন ছেলেকে প্রকাশ পাড়ুকোনের মত বিরাট খেলোয়াড় তৈরি করার। সে জন্য আট বছর বয়েসেই বেঙ্গালুরুর প্রকাশ পাডুকোন অ্যাকাডেমিতে ছেলেকে ভর্তি করে দেন।
সে দিন থেকে গত সাত বছরে প্রকাশ পাডুকোন নিজে, সঙ্গে বিমল কুমারের তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠেছে লক্ষ্য। পটনায় মঙ্গলবার জিতলেই প্রকাশের মতো লক্ষ্য হয়ে যেত সব চেয়ে কম বয়েসের জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন। প্রকাশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন মাত্র সাড়ে ১৫ বছর বয়েসে। সেটা ছুঁতে না পারলেও লক্ষ্য বলছে, ‘‘প্রকাশ স্যার আমার রোল মডেল। আমি ওনার বেশির ভাগ খেলাই ইউ টিউবে দেখেছি। আর প্রকাশ স্যারের মতই আমিও একই স্টাইলে খেলতে পছন্দ করি। কোচ বিমল কুমার ও আরও অনেকে বলেছে এ ভাবে খেলাটা চালিয়ে যেতে পারলে আমি নাকি প্রকাশ স্যারের সঙ্গে টক্কর দিতে পারতাম।’’ সঙ্গে লক্ষ্য যোগ করে, ‘‘প্রকাশ স্যরের মতই আমিও ‘ফাস্ট ডিফেন্স, দেন অ্যাটাক’ স্টাইলে বিশ্বাসী। তাই প্রণয়কে হারাতে আমার বিশেষ অসুবিধা হয়নি। প্রকাশ স্যারের মতই আমার প্রথম লক্ষ্য হল জাতীয় চ্যম্পিয়ন হওয়া। তারপর লক্ষ্য এশীয় ও পরে অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তার পর সাইনা নেহওয়াল ম্যামের মতই অলিম্পিক্স থেকে পদক জিততে চাই।’’
পিভি সিন্ধু, সাইনা নেহওয়াল, বিমল কুমার ও গোপীচন্দের খেলাও তিনি দেখেছেন ইউ টিউবে। কিন্তু প্রকাশ পাডুকোন ছাড়া কারও খেলা তাকে তেমন ভাবে টানেনি। তবে প্রকাশ স্যারের পাশাপাশি তাঁর পছন্দের তালিকায় আছেন পিভি সিন্ধুও। তাই বলেই ফেললেন, ‘‘সাইনা নেহওয়ালের থেকেও আমার ভাল লাগে পিভি সিন্ধুর খেলা। আক্রমণের সঙ্গে ওর ডিফেন্স করার ক্ষমতাও দারুণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy