—প্রতীকী চিত্র।
চাইলে রেফারি বাঁশি বাজিয়ে দিতেই পারতেন। কারণ দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্ত সময়ের ৪ মিনিট ততক্ষণে হয়ে গিয়েছিল। মাঠে উপস্থিত সকলেই ধরে নিয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ১-০ গোলে জিতবে লাজ়িয়োর বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সব হিসাব বদলে দিলেন লাজ়িয়োর গোলরক্ষক ইভান প্রোভোদেল।
খেলা শেষ হল ১-১ গোলে। অনবদ্য হেড থেকে প্রোভোদেলের গোল ইটালির ক্লাবটির পরাজয় রুখল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মরিয়া লাজ়িয়ো গোলরক্ষক উঠে গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের বক্সে। সতীর্থ লুইস রবার্তোর ক্রসে দৌড়ে গিয়ে হেড করেন প্রোভোদেল।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ ‘ই’র ম্যাচে প্রথমার্ধে পাবলো ব্যারিওসের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল অ্যাতলেটিকো। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধান বজায় রেখেও জিততে পারল না ডিয়েগো সিমিওনের দল। ভুল অবশ্য স্পেনের ক্লাবটির। বক্সে উঠে আসা প্রোভোদেলকে খেয়াল করেননি অ্যাতলেটিকোর কোনও ফুটবলারই। সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাঁর গোল একরকম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হয় অ্যাতলেটিকো ফুটবলারদের। তাতে অবশ্য লাজ়িয়ো গোলরক্ষকের কৃতিত্ব কমবে না। তাঁর হেড করার দক্ষতার প্রশংসা করেছেন তাবড় ফুটবল বিশেষজ্ঞেরা।
মঙ্গলবারের ম্যাচে বেশ কিছু ভাল সেভ করেছেন লাজ়িয়োর গোলরক্ষক। পাশাপাশি ঢেকে দিয়েছেন নিজের দলের স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা। স্বাভাবিক ভাবেই সমর্থকদের চোখে নায়ক হয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও গোল করা আনন্দ উপভোগ করতে পারছেন না তিনি। ম্যাচের পর প্রোভোদেল বলেছেন, ‘‘গোল বাঁচানোর অনুভূতি কেমন, জানি। ভাল সেভ করতে পারলে আনন্দ হয়। গোল করার অভিজ্ঞতা তেমন নেই আমার। হয়তো তাই আনন্দটা ঠিক মতো বুঝতে পারছি না। পরে হয়তো পারব। তবে আমাদের অনেক আগেই গোল করা উচিত ছিল। অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছি এটাই ইতিবাচক দিক।’’
চতুর্থ গোলরক্ষক হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল করলেন প্রোভোদেল। এর আগেও তাঁর গোল করার নজির রয়েছে। ২০২০ সালে ইটালির তৃতীয় ডিভিশনের ক্লাব জুভ স্তাভিয়ার হয়েও গোল করেছিলেন তিনি। সে বার অতিরিক্ত সময় দলের হয়ে সমতা ফিরিয়ে ছিলেন প্রোভোদেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy