বলা হয়, কাছের মানুষরাই অনেক সময় সবচেয়ে কঠিন সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করে। লিওনেল মেসির ক্ষেত্রেও কথাটা সত্যি হয়ে উঠল। কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের পর বিশ্ব ফুটবলে আর্জেন্তিনা ক্যাপ্টেনের সমালোচনা যেমন হয়েছে, তেমন ভক্তদের সমবেদনাও পেয়েছেন বার্সেলোনার রাজপুত্র। কিন্তু এ ভাবে কঠোর সমালোচনা যে খোদ দাদুর কাছেই জুটবে এলএম টেনের সেটা কে জানত!
মেসির এ বারের কোপা আমেরিকার পারফরম্যান্সকে ‘অলস’ বলে দিয়েছেন তাঁর দাদু আন্তোনিও। আর্জেন্তিনীয় মিডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘‘খেতাব জেতাটা বিরাট বড় ব্যাপার ছিল। কিন্তু গত তিন ম্যাচে মেসি খারাপ খেলেছে। মেসির কিছুটাই দেখা গিয়েছে। ওকে অলস লেগেছে মাঠে।’’ গোটা টুর্নামেন্টে টানা চার বার ম্যাচ সেরা আর টুর্নামেন্টের সেরা হলেও গোল করেছেন মাত্র একটি। তাও পেনাল্টি থেকে। ক্লাব ফুটবলে এ মরসুমে বার্সেলোনার মহাতারকার গোল করার ধারাবাহিকতা কোপা আমেরিকায় দেখাতে পারেননি। তবে আর্জেন্তিনাকে ফাইনালে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে আর্জেন্তিনার অধিনায়কের অবদান যে সবচেয়ে বেশি ছিল সেটা তাঁর ঘোরতর সমালোচকও মানতে বাধ্য। তাই অনেক মেসিভক্তই বলছেন নাতির উপর একটু বেশিই কঠোর মন্তব্য করে ফেলেছেন আন্তোনিও। কেন না প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনার ৬-১ জয়ের ম্যাচে মেসির পারফরম্যান্সকে টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা বলা হচ্ছে। গোল না পেলেও অন্তত তিনটি গোলের পাস বাড়িয়েছিলেন তিনি। তবে মেসি ভক্তদের একটা অংশ কিন্তু আর একটা প্রশ্নও তুলে দিচ্ছেন। ২২ বছর আর্জেন্তিনার ট্রফির খরা চলছে সেটা যেমন ঠিক। তেমনই এটাও ঠিক ‘আলবিসেলেস্তে’র বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার ফাইনালে ওঠা হত না ‘মেসি ম্যাজিক’ না থাকলে। তাই কোপার পারফরম্যান্সের পর মেসিকে যদি অলস বলা হয়, তা হলে তাঁর সতীর্থদের পারফরম্যান্সকে কী বলা হবে?