রেকর্ড করা সেঞ্চুরির পরে রাহুল।
জয়ের জন্য যখন দলের ২০ রান দরকার, তখন তাঁর নতুন মাইলস্টোন গড়তেও প্রয়োজন ঠিক তত রানই। উল্টোদিকে থাকা অম্বাতি রায়ডু কোনও রান না করলে ব্যাপারটা মিটেই যেত। কিন্তু চারটে রান করে ফেলেন তিনি। তাই একেবারে শেষে এসে দেখা গেল, জয়ের জন্য যখন দু’রান বাকি, তখন ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি থেকে রাহুল ছ’রান দূরে। তাই মাসাকাদজার কোনাকুনি সুইং করানো বলটা লং-অনের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকিটা নিয়েই ফেললেন রাহুল। যা পড়ল সোজা বাউন্ডারির বাইরে।
জিম্বাবোয়ে সফরে ভারত প্রথম ম্যাচ তো জিতলই। দেখা গেল ফর্মে থাকা রাহুলকে। ইনিও রাহুল দ্রাবিড়ের শহরেরই ছেলে। শিখর ধবন, রোহিত শর্মাদের জায়গা ভরাট করতে নেমে একেবারেই আশাহত করলেন না। প্রথম যাত্রায় তাঁর রাজ্যেরই করুণ নায়ার সফল না হলেও রাহুল বোঝালেন, আইপিএলের ফর্মের রেশ তাঁর ব্যাটে এখনও রয়েছে।
ওয়ান ডে অভিষেকে প্রথম ভারতীয় সেঞ্চুরিয়ন তিনি। বিশ্ব ক্রিকেটে এগারো নম্বর। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘‘ওই বলটায় আর বেশি ভাবার কিছু ছিল না। সেঞ্চুরিতে পৌঁছনোর একটাই রাস্তা ছিল, আর সেটাই করলাম।’’ জিম্বাবোয়ের ১৬৮-র পর অবশ্য হারারে স্পোর্টস ক্লাবের উইকেট নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। যা নিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি পরে বললেন, ‘‘উইকেটটা ব্যাট করার পক্ষে মোটেই সোজা ছিল না। এই উইকেটে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলা খুব কঠিন ছিল।’’
রাহুল নিজেও বললেন, ‘‘উইকেটটা সত্যিই সোজা ছিল না। তাই ব্যাট করার সময় আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা ছিল না। নতুন বলটা সামলে নিয়ে, তার পর নিজের খেলাটা খেলারই পরিকল্পনা ছিল। সেটা খেটে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত নট আউট থেকে যেতে পারলাম। পরের ম্যাচগুলোতেই এ রকমই খেলতে চাই।’’
ক্যাপ্টেন কুল ধোনি অবশ্য মনে করেন, মূলত তাঁর বোলাররাই এই ম্যাচ জিতিয়েছেন। জসপ্রীত বুমরাহ (৪-২৮), ধবল কুলকার্নি (২-৪২), বারিন্দার স্রানদের (২-৪২) উদ্দেশ্য করে ধোনি বলেন, ‘‘ফাস্ট বোলাররা আজ যথেষ্ট ভাল বল করেছে আর স্পিনাররা ওদের ভাল সাপোর্ট দিয়েছে। ব্যাটসম্যানরা তো ভাল করেছেই। তবে বোলাররা জয়ের ভিতটা তৈরি করে দিয়েছে।’’
টস হেরে ব্যাট করা জিম্বাবোয়ের সর্বোচ্চ স্কোরার এল্টন চিগুম্বুরা ৪১ করেন। ভারতীয় বোলারদের দাপটে তারা ২৪ ওভারে ৭৭-৫ হয়ে গিয়েছিল। সেই জায়গা থেকে চিগুম্বুরা ও সিকান্দার রাজা (২৩) কিছুটা চেষ্টা করলেও বেশি দূর এগোতে পারেনি।
পাল্টা ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার করুণ নায়ার পুল করতে গিয়ে শর্ট কভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তার পর সেই যে হাল ধরলেন ‘ডাবল আর’ রাহুল আর রায়ডু, আর পিছন ফিরে তাকাননি তাঁরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবোয়ে ১৬৮ (চিগুম্বুরা ৪১, বুমরাহ ৪-২৮, ধবল ২-৪২, স্রান ২-৪২)
ভারত ১৭৩-১ (৪২.৩ ওভার) (রাহুল ১০০ নআ, রায়ডু ৬২ নআ, চাতারা ১-২০)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy