গোলের পর সবুজ-মেরুনের সেনেগালিজ স্ট্রাইকার পাপা।
মোহনবাগান ২ ইস্টবেঙ্গল ১
(বেইতিয়া, পাপা) (মার্কোস)
দুই স্পেনীয় কোচের মগজাস্ত্রের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা। রবিবার যুবভারতীতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে সবুজ-মেরুন ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আই লিগের পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গল ডার্বি ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়ল অনেকটাই। চার্চিল, গোকুলমের পর মোহনবাগান, টানা তিন ম্যাচে হারল লাল-হলুদ ক্লাব। এতটা পিছিয়ে পড়ে আই লিগ জিতে নেবে ইস্টবেঙ্গল, এমন আশা আর করছেন না সমর্থকরা।
বাঙালির চির আবেগের ম্যাচে গোল হল তিনটি। তার মধ্যে দু’টি রক্ষণের ভুলে। অথচ দু’ প্রধানের সেন্ট্রাল ডিফেন্স সামলান বিদেশি ডিফেন্ডাররাই। তবুও শিশুর মতো ভুল হল। হেডে গোল করে বেইতিয়া এগিয়ে দেন সবুজ-মেরুনকে। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে হেড করলেন তিনি। অথচ তাঁকে মাকিং করার কেউ নেই। সময় নিয়ে হেড করে গোল করলেন বাগানের দশ নম্বর জার্সিধারী। অবশ্য বেইতিয়ার গোলের পিছনে নাওরেমের ভূমিকাই ছিল বেশি। বাঁ দিকে তিনি একাই ডিকা ও কমলপ্রীতকে ড্রিবল করে বেইতিয়ার জন্য সেন্টার রেখেছিলেন।
মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোল পাপা দিওয়ারার। বেইতিয়ার কর্নার থেকে সেনেগালিজ স্ট্রাইকার হেডে ব্যবধান বাড়ান। বিনা বাধায় গোল করেন তিনি। পাপা যখন হেড করছেন তখন তাঁর কাছে কেবল লালরিনডিকা। তিনি স্পট জাম্পও দিলেন না। পাপাকে হেড করতে দিলেন। ডার্বি ম্যাচে যদি এ রকম ভুল হয়, তা হলে আর ম্যাচ জিতবে কী ভাবে!
আরও পড়ুন: ডার্বির আগে বন্ধু কিবুকে শুভেচ্ছা, সমর্থকদের তাতালেন ‘সবুজ তোতা’
খেলার শুরু থেকে অবশ্য মোহনবাগানেরই দাপট ছিল। ছোট ছোট পাসের মালা বুনছিলেন বেইতিয়া-ফ্রান গনজালেজরা। সেই সময়ে ইস্টবেঙ্গলকে ফিকেই দেখাচ্ছিল। কোলাডো তাঁর আগের ফর্মের ধারেকাছে নেই। মার্কোসকেও নিষ্প্রভ দেখাচ্ছিল। এই অবস্থায় বাগানের গোলকিপার শঙ্কর রায় প্রায় গোল খাইয়ে দিয়েছিলেন। যে বলটা গ্রিপ করার ছিল, সেটা ফিস্ট করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। ভাগ্য ভাল থাকায় সে যাত্রায় গোল করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। উল্টে দ্বিতীয়ার্ধে (৬৫ মিনিটে) পাপা ব্যবধান বাড়ান সবুজ-মেরুনের হয়ে।
৭০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান কমান মার্কোস। তাঁকে নিয়ে কম সমালোচনা হচ্ছিল না। কলকাতায় পা রাখার পর মার্কোস কিছুই করতে পারেননি। এদিন এডমুন্ডের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন তিনি। ভারতীয় ফুটবলে এমন থ্রু থেকে ইদানিং গোল হয় না। ঠিকঠাক বল বাড়ানো হলে তিনি যে গোল করতে পারেন, তা মার্কোস প্রমাণ করলেন যুবভারতীতে। মার্কোস গোল করার পরে চাপ বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। হুয়ান মেরার শট বার কাঁপিয়ে চলে আসে। কোলাডোর ফ্রি কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারায় মাথা নীচু করেই মাঠ ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy