Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কমিশনারের রিপোর্ট: মাঠে পিস্তল নিয়ে মিনার্ভা কর্মী

মিনার্ভা পঞ্জাব বনাম গোকুলম এফসি ম্যাচে মাঠের মধ্যে ব্যক্তিগত পিস্তল ঢুকেছিল বলে হইচই চলছিল। এই অভিযোগের সত্যতা মিলল ম্যাচ কমিশনার বালাসুব্রমহ্মণ্যমের পেশ করা রিপোর্টে। এবং তা হাতে পাওয়ার পর খেতাবের দৌড়ে থাকা মিনার্ভার বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৫১
Share: Save:

মিনার্ভা পঞ্জাব বনাম গোকুলম এফসি ম্যাচে মাঠের মধ্যে ব্যক্তিগত পিস্তল ঢুকেছিল বলে হইচই চলছিল। এই অভিযোগের সত্যতা মিলল ম্যাচ কমিশনার বালাসুব্রমহ্মণ্যমের পেশ করা রিপোর্টে। এবং তা হাতে পাওয়ার পর খেতাবের দৌড়ে থাকা মিনার্ভার বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নিল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।

মঙ্গলবার চণ্ডীগড়ে আই লিগের ম্যাচ চলার সময় অভিযোগ উঠেছিল মাঠের মধ্যে এক ব্যক্তি প্রকাশ্যে পিস্তল নিয়ে ঘোরাঘুরি করেছেন। কলকাতার দুই প্রধান-সহ বহু ক্লাবই এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়। ফেডারেশনের কাছে সেই ছবিও এসে পৌঁছয়। কিন্তু দিল্লির কর্তারা অপেক্ষায় ছিলেন ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টের। সেটি এসে পৌঁছয় বৃহস্পতিবার সকালে। রিপোর্টে বালাসুব্রমহ্মণ্যম লেখেন, ‘‘একজন ব্যক্তি মাঠের ভিতর পিস্তল নিয়ে ঘুরছিল, সেটা আমি দেখেছি।’’

সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে তা পাঠিয়ে দেন আই লিগের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার সুনন্দ ধর। দিল্লি থেকে তিনি বলে দিলেন, ‘‘ছবি আমাদের কাছে আগেই এসেছিল। ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টও পেয়েছি। এ বার তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।’’ আর তা হাতে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কড়া চিঠি চলে যায় মিনার্ভার কাছে।

মিনর্ভার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, যিনি পিস্তল নিয়ে মাঠে ঢুকেছিলেন তিনি টিমের সিকিওরিটি অফিসার। পঞ্জাবের নতুন ক্লাবটির পক্ষ থেকে পিস্তল-কাণ্ডের যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল, তাতে সন্তুষ্ট হননি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ দিন যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে পিস্তলের সঙ্গে জড়িয়ে দিয়েছেন মিনার্ভার মালিকের মাঠের আচরণকেও। চিঠিতে বলা হয়েছে (এক) রিজার্ভ বেঞ্চে বসে মিনার্ভার ম্যানেজার রঞ্জিত বাজাজ যে আচরণ করছেন তা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। রেফারি বা চতুর্থ রেফারির বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টেকনিক্যাল এরিয়ায় বসে খারাপ মন্তব্য করেন তিনি। লাফাচ্ছিলেনও। জরিমানা বা সতর্ক করার পরও বদলাননি তিনি। শেষ বারের মতো তাঁকে সতর্ক করা হচ্ছে। এ রকম হলে বড় রকমের শাস্তি পেতে হবে।

দুই) বিভিন্ন ছবি ও ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টে রয়েছে, খেলার জন্য নির্ধারিত জায়গায় রীতিমতো পিস্তল দেখিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। কাউকে ভয় দেখানোর জন্য যা করা হয়।

তিন) ব্যক্তিগত সিকিওরিটি কেউ রাখতেই পারেন। তাঁর কাছে নথিভুক্ত পিস্তলও থাকতে পারে। কিন্তু ম্যাচ কমিশনারের অনুমতি ছাড়া তা নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে না। তা ছাড়া প্রকাশ্যে পিস্তল দেখানোটাও অপরাধ। ভবিষ্যতে এ রকম হলে বড় শাস্তি পেতে হবে।

পিস্তল-কাণ্ডের পরে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছিল, মিনার্ভাকে টুর্নামেন্ট থেকে বাতিল করা হোক। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির এক কর্তা বললেন, ‘‘পিস্তল নিয়ে কাউকে ভয় দেখানোর অভিযোগ পাইনি। সে দিনের প্রতিপক্ষ গোকুলম কোনও অভিযোগ করেনি। না হলে তারা যে অপরাধ করেছে, তার জন্য বড় কোনও শাস্তি দেওয়াই যেত।’’

এ দিকে আই লিগের ক্লাব মিনার্ভাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হলেও, বড় জরিমানার সামনে পড়তে চলেছে সুনীল ছেত্রী-দের বেঙ্গালুরু এফসি। আইএসএলে বেঙ্গালুরু বনাম এফসি পুণে সিটি ম্যাচে দর্শকরা কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ঝামেলা করেছিলেন।

এ দিকে প্রস্তাবিত সুপার কাপ কোথায় হবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কোচি বা কটকে তা হওয়ার কথা নতুন এই টুনার্মেন্ট। যে-হেতু কোচিতে যুব বিশ্বকাপ এবং আইএসএলের ম্যাচ হয়েছে, তাই কটক-ই প্রথম পছন্দ ফেডারেশন কর্তাদের। কিন্তু সেখানকার হোটেল, অনুশীলন মাঠ, পরিকাঠামো ঠিক আছে কি না তা দেখার পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। দিল্লি থেকে ফোনে ফেডারেশন সচিব কুশল দাশ বললেন, ‘‘কোচির পরিকাঠামো আমরা জানি। কিন্তু কটকের সব কিছু খতিয়ে দেখতে হবে। যাতে দলগুলির সমস্যা না হয় সেটা নিশ্চিত করার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’’

চ্যাম্পিয়ন নিউজ টাইম ও খবরের খেলাধুলো: কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব আয়োজিত ফুটবলে ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিভাগে চ্যাম্পিয়ন নিউজ টাইম। ফাইনালে তারা ৪-৩ হারাল আর প্লাসকে। প্রিন্ট বিভাগের ফাইনালে একদিনকে ২-০ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন খবরের খেলাধুলো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

I League Minerva Pistol Football
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE