মোহনবাগানের দুই গোলদাতা ডাফি ও জেজে। -ফাইল চিত্র।
মোহনবাগান ৩ (ডাফি-২, জেজে)
আইজল ২ (জয়েশ, আশুতোষ)
ঠিক যে ভাবে শুরু করেছিলেন, শেষও করলেন একই ছন্দে। মাঝে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছিল ঠিকই কিন্তু শেষ হাসিটা হেসে গেল মোহনবাগানই। এই মরসুমে আইজল এফসি যে অনেক বড় দলকেই বেগ দেবে সেটা বার বারই প্রমাণ করে দিচ্ছে। একদল পাহাড়ি ছেলের সঙ্গে আশুতোষ মেহতা, জয়েশ রানেদের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি দল প্রতিদিনই প্রমাণ করছে। আসল লোকটি অবশ্য কোচিংয়ের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রথম অন্যকোনও দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব নিলেন। তিনি খালিদ জামিল। মুম্বই এফসির দীর্ঘদিনের কোচের পদ থেকে এই বছরই সরে যেতে হয়েছে। তবে পছন্দের ফুটবলারদের সঙ্গেই করে নিয়ে গিয়েই বাজিমাত করছেন তিনি। এত দিন লিগ তালিকার দু’নম্বর জায়গাটা দখল করে রাখলেও আজ আইজলকে হারিয়ে দু’য়ে উঠে এল মোহনবাগান। ছুঁয়ে ফেলল ইস্টবেঙ্গলকে।
আরও খবর: আই লিগে নতুন রেকর্ড পঞ্জাব স্ট্রাইকারের
ম্যাচ শুরুর দু’মিনিটের মধ্যেই গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ড্যারেল ডাফি। এ বারের লিগে এখনও পর্যন্ত দ্রুততম গোল এটই। শুধু তাই নয় পাঁচ গোল করে সিকে বিনিথের সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায়ও শীর্ষে উঠে এলেন ডাফি। এর পরের পুরো প্রথমার্ধটাই প্রায় মিস পাল্টা মিসের পালা। কখনও সুরজিৎ বোস তো কখনও জয়েশ রানে। জয়েশ রানে সব থেকে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন২৮ মিনিটে। যখন দেবজিৎ মজুমদার নিজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এলেও ফাঁকা গোলের বদলে ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন বল। যদিও ৪১ মিনিটে সেই ভুল শুধরে আইজল এফসিকে সমতায় ফেরান তিনিই। বাগান রক্ষণের কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির ফলেই এই গোল হজম করতে হয়। প্রথমার্ধের শেষ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন কিংশুক দেবনাথ। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলেই।
দ্বিতীয়ার্ধে আবার এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এ বার পালা ছিল জেজে লালপেখলুয়ার। ঘরের দলের বিরুদ্ধে ৬৩ মিনিটে গোল করে ২-১ করেন জেজে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। নাটক আরও বাকি ছিল রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে। সাত মিনিটের আবার সমতায় ফেরে আইজল এফসি। ৭০ মিনিটে গোল করে যান খালিদ জামিলের আর এক প্রিয় ছাত্র আশুতোষ মেহতা। এই ম্যাচে আইজলের হিরো হওয়ার কথা ছিল তাঁরই। কিন্তু হল উল্টো। মোহনবাগানকে পেনাল্টি পাইয়ে ভিলেন হয়ে গেলেন তিনি। ৮৮৩ মিনিটে বক্সের মধ্যে কাটসুমিকে ফাউল করে প্রতিপক্ষের সুবিধে করে দিলেন আশুতোষ। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি সেই জ্যারেল ডাফিই। ৮৪ মিনিটে গোল হজম করে আর সমতায় ফিরতে পারেনি আইজল এফসি। কলম্বো থেকে এএফসি কাপের ম্যাচ জিতে এসে আই লিগেও জয়ের ধারা ধরে রাখল মোহনবাগান। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এল দু’য়ে। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্টে দাড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলও। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আইজল এফসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy