নোটবুকে লেখা ‘সরি এভরিওয়ান’। কানপুর আইআইটির হস্টেল থেকে বিটেক চতুর্থ বর্ষের এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল। ছাত্রের মৃত্যু এবং তাঁর নোটবুকে উদ্ধার হওয়া লেখা ঘিরে বাড়ছে রহস্যও। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জয় সিংহ মীনা (২৬)। তিনি বায়োলজিক্যাল সায়েন্স এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। সোমবার সকালে মীনার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজস্থানের অজমেরের বাসিন্দা মীনা। তিনি আইআইটির ই ব্লকে হস্টেলের ১৪৮ নম্বর ঘরে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে আরও এক পড়ুয়াও থাকেন। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, মীনার সেই রুমমেট ছুটিতে বাড়ি গিয়েছেন। সোমবার সকালে অনেক ক্ষণ ডাকাডাকি করেও মীনার কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়া গেলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢুকতেই মীনার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরের সিলিংয়ে থাকা একটি রডে কম্বলে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়।
অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ কমিশনার আশুতোষ কুমার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, মীনা হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘর থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, হাতের শিরা কাটতে ব্যর্থ হওয়ার পরই গলায় দড়ি দেন মীনা। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও, অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে শীতকালীন ছুটি পড়ে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মীনাও বাড়ি ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন। তা হলে হঠাৎ করে চরম পদক্ষেপ করতে গেলেন কেন, তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। এই নিয়ে এ বছরে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল আইআইটি কানপুরে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছরে কানপুর আইআইটিতে ১০ জনেরও বেশি পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন।