Advertisement
E-Paper

ক্রোমার গোলে ট্রফি খরা কাটল মোহনবাগানে

ম্যাচের একদম শুরুতেই মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করে যান লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকার আনসুমানা ক্রোমা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৫৩
তারকা: পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মোহনবাগান স্ট্রাইকার ক্রোমা। নিজস্ব চিত্র

তারকা: পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মোহনবাগান স্ট্রাইকার ক্রোমা। নিজস্ব চিত্র

মোহনবাগান ১ : কাস্টমস ০

কলকাতা লিগে খেতাবের দৌড়ে প্রবল ভাবে থেকেও শেষ মুহূর্তে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মোহনবাগানের। কলকাতা লিগ অল্পের জন্য আসেনি সবুজ-মেরুন শিবিরে।

অবশেষে দীপাবলীর আগে রবিবার মরসুমের প্রথম ট্রফি ঘরে ঢুকল মোহনবাগানের। এ দিন গ্যাংটকের পালজোড় স্টেডিয়ামে কাস্টমসকে ১-০ হারিয়ে সিকিম গভর্নর্স গোল্ড কাপ ঘরে তুলল মোহনবাগান। ম্যাচের একদম শুরুতেই মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করে যান লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকার
আনসুমানা ক্রোমা।

ম্যাচ জিতে ট্রফি-সহ হোটেলে ফিরে মোহনবাগানকে সিকিম গভর্নর্স জেতানো স্ট্রাইকার ক্রোমা বললেন, ‘‘এ বার কলকাতা লিগে আমরা যে রকম ফর্মে খেলেছি, তাতে ট্রফির যোগ্য দাবিদার ছিলাম আমরা। কিন্তু সেটা না জিততে পারায় একটু হতাশ হয়েছিলাম। এই ট্রফিটা জিতে সেই খেদ কিছুটা মিটল। মোহনবাগান ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব। সেই ক্লাবের জার্সি গায়ে প্রথম ট্রফি জেতার এই অনুভূতি দারুণ।’’

মোহনবাগানে তিন মরসুম কোচিং করাচ্ছেন মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। যার মধ্যে গত দুই কলকাতা লিগে একক ভাবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। গ্যাংটকেও এই টুর্নামেন্টে একক ভাবে কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ফলে কোচ হিসেবে অতীতে তিনি সঞ্জয় সেনের সহকারী হিসেবে আই লিগ ও ফেড কাপ জিতলেও, একক দায়িত্বে এ দিনই প্রথম ট্রফি জিতলেন তিনি। ম্যাচের পর গ্যাংটকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে শঙ্করলাল বলছিলেন, ‘‘কোচ হিসেবে মোহনবাগানকে ট্রফি দিতে পারায় ভাল লাগছে। কলকাতা লিগ শেষ হতেই দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছিল। তার পরে পাঁচ দিনের অনুশীলন করে সিকিমে এসেছিলাম।’’

আরও পড়ুন: সিরিজে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তির নাম হার্দিক

মোহনবাগান কোচ আরও বললেন, ‘‘টিমে আট-নয় জন নতুন ফুটবলার কলকাতা লিগের পর যোগ দিয়েছে। পাঁচ দিনে তিনটে ম্যাচ খেলার ধকল ছিল। তাই এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আমার সামনে। আমার রক্ষণ কিন্তু তিন ম্যাচে কোনও গোল খায়নি। চ্যালেঞ্জটা সসম্মানে উতরে মোহনবাগান সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পারায় ভাল লাগছে। ফরোয়ার্ডরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে আরও বেশি গোলে জিতে ফিরতে পারতাম।’’

কলকাতা লিগে কাস্টমসকে ২-০ হারিয়েছিল মোহনবাগান। তাদের বিরুদ্ধে এ দিন ৪-৪-২ ছকে নেমেছিলেন দিপান্দা ডিকা-ক্রোমারা। শুরু থেকেই আক্রমণ শানাতে থাকেন সবুজ-মেরুন শিবিরের এই দুই জোড়া ফলা। সাত মিনিটের মধ্যেই গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। বক্সের আগে ডিকার সঙ্গে চমৎকার ওয়ান-টু খেলে গোলমুখ খুলে ফেলেছিলেন ক্রোমা। বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করে যান ক্রোমা।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ইউতা কিনোয়াকিকে মাঠে নামিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ। কিন্তু তিনি সে ভাবে ম্যাচ ফিট না থাকায় জ্বলে উঠতে পারেননি। ছন্দে ছিলেন না সবুজ-মেরুন শিবিরের আর এক বিদেশি দিয়েগো ফেরিরাও। তবে দুই উইং হাফ শেখ ফৈয়াজ ও বিখোখেই অজস্র গোলের বল বাড়িয়েছিলেন। যা ডিকা ও ক্রোমা কাজে লাগাতে ব্যর্থ।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে কাস্টমসের মুস্তাফার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে এ ছাড়া খুব বেশি পরীক্ষার সামনে পরেনি মোহনবাগান রক্ষণ। গ্যাটংকে প্রথম একাদশের তিন ফুটবলার গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিংহ, ধীমান সিনহা ও সুমন দত্তকে নিয়ে যায়নি কাস্টমস। তাদের কোচ রাজীব দে বলছেন, ‘‘শনিবার সেমিফাইনাল খেলে কৃত্রিম ঘাসের মাঠে পরদিনই ফাইনাল। ছেলেরা চোদ্দো ঘণ্টাও বিশ্রাম পায়নি। তা সত্ত্বেও আমাদের ছেলেরা লড়াই করেছে। মুস্তাফার পোস্টে লেগে না ফিরলে ফল অন্য রকম হতেই পারতো।’’

Mohun Bagan Sikkim Governor's Gold Cup মোহনবাগান Trophy Unsumana Kromah Football
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy