ভারতীয় দলের সফলতম ওপেনার তিনিই। ঘরের মাঠে টানা ১৩টি টেস্ট খেলেছেন। দলকে সিরিজ জিতিয়েছেন একের পর এক। কিন্তু আইপিএল-এর চলতি মরসুমে খেলতে পারছেন না তিনি। কিন্ত কী ভাবে খেলেছেন তিনি এই টানা হোম সিরিজ এতদিন টিম ম্যানেজমেন্ট ছাড়া আর কারও কাছেই সে খবর ছিল না। সেই ভয়ঙ্কর সত্যির কথা এদিন জানিয়েছেন মুরলী বিজয়। জানিয়েছেন কী ভাবে ভাঙা কব্জি নিয়ে এতদিন খেলে গিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘আমি চোট নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। কিন্তু আমি এতদিন ভাঙা কব্জি নিয়ে খেলে গিয়েছি। খুব কঠিন পরিস্থিতি ছিল। তবুও দল আমার কাছে আগে ছিল। চোটের জন্য নিজের চেনা ছন্দে ব্যাট করতে পারিনি। যখন ব্যাট করতে নেমেছি তখন কব্জিতে ব্যান্ডেজ বেঁধে। বিশেষ করে পেসারদের বিরুদ্ধে। খুব কঠিন সময় ছিল। ফ্রন্ট ফুটের উপর নির্ভর করে খেলছিলাম। কারণ, নিচের হাতে সমস্যা ছিল।’’
আরও খবর: আবার চোট, আজ খেলতে পারছেন না ডে ভিলিয়ার্স
যদিও ডাক্তাররা বলে দিয়েছিলেন হাতের উপর জোড় না দিতে। যেটা মনে রেখেই ব্যাট করতে হয়েছে মুরলীকে। যে কারণে নিজের চেনা শটগুলো খেলতে পারেননি মুরলী। বলেন, ‘‘একজন ব্যাটসম্যান যদি তাঁর চেনা শটগুলো খেলতে সেটা খেলার উপর প্রভাব ফেলে। খুব হতাশাজনক। কিন্তু আমি এটাকে চ্যালে়ঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। কারণ আমি জানি কোনও কিছুই সহজে আসে না। আর আমি এর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমার শরীরি ভাষা দেখে সব সময় বোঝা যায় না কী চলছে আমার মনের ভিতর। কিন্তু দিনের শেষে আমাকে নিজের সমস্যা সামলে বেরিয়ে আসতে হবে।’’
ঘরের মাঠে ১৩টি টেস্টের মধ্যে মাত্র একটিটেই খেলতে পারেননি মুরলী। বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। মরসুম শেষ করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করে। ৭৭১ রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। গড় ৩৬.৭১। তাঁর আগে রয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহালি। টেস্ট সিরিজ শেষে বিদেশে উড়ে গিয়েছিলেন চোটের অস্ত্রোপচারের জন্য। ১৬ এপ্রিলই ফিরেছেন। এখন রি-হ্যাবে ব্যস্ত তিনি। পুরো সুস্থ হতে দু’মাস সময় লাগবে। বলেন, ‘‘টিম ম্যানেজমেন্ট আমার অবস্থা বুঝে সব সময় আমাকে সমর্থন করে গিয়েছে। আমি রি-হ্যাব শুরু করেছি। আশা করছি এক-দু’মাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারব। আবার ব্যাট হাতে নামতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy