লড়াকু: গত বারের মতো দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেন নীরজ। —ফাইল চিত্র।
প্যারিস অলিম্পিক্সের মতো ব্রাসেলসে জ্যাভলিন থ্রোয়ে ডায়মন্ড িলগের ফাইনালেও দ্বিতীয় স্থানে থামতে হল নীরজ চোপড়াকে। টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সেরা ভারতীয় তারকা শনিবার এক সেন্টিমিটারের জন্য চ্যাম্পিয়নের ট্রফি হাতে তুলতে পারলেন না। তিনি ছোড়েন ৮৭.৮৬ মিটার। চ্যাম্পিয়ন হন গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্স। তাঁর থ্রো
৮৭.৮৭ মিটার।
দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং প্যারিস অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী পিটার্স প্রথম থ্রোতেই সবার আগে চলে আসেন। নীরজের সেখানে প্রথম থ্রো ছিল ৮৬.৮২ মিটার। তৃতীয় থ্রোতে নীরজ ৮৭.৮৬ মিটার দূরত্বে ছোড়েন। তৃতীয় স্থান পান জার্মানির জুলিয়ান ওয়েবার। তাঁর থ্রো ৮৫.৯৭ মিটার। নীরজ ২০২২ সালে ডায়মন্ড লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। গত মরসুমেও তিনি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন।
ডায়মন্ড লিগে নীরজ ছাড়াও নজর ছিল অবিনাশ সাবলের উপরে। যিনি ডায়মন্ড লিগের ফাইনালে তিন হাজার মিটার স্টিপলচেজ় বিভাগে প্রথম বার নেমেছিলেন। তবে সাবলে শুক্রবার শেষ করেন ৯ নম্বরে। সময় নেন ৮:১৭.০৯ সেকেন্ড। মরক্কোর অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন সোফিয়ানে এল বাকালি ফাইনালে জিততে পারেননি এই বিভাগে। তাঁকে হারান ২২ বছর বয়সি কেনিয়ার আমোস সেরেম। প্রাক্তন অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন সময় নেন ৮:০৬.৯০ সেকেন্ড। বাকালির সময় সেখানে
৮:০৮.৬০ সেকেন্ড।
নীরজের ভক্তদের আশা ছিল শনিবার ব্রাসেলসে নীরজের থ্রো ৯০ মিটার পেরোতে দেখা যাবে। কিন্তু তা হল না। ফাইনালে শীর্ষে শেষ করার জন্য পিটার্স ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা) ও ডায়মন্ড লিগের ট্রফি পেলেন। নীরজ পেলেন ১২ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ১০ লক্ষ টাকা)। এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে ডায়মন্ড লিগ সিরিজ়ও শেষ হল। সঙ্গে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স মরসুমও।
নীরজ গোটা মরসুমেই ধারাবাহিক ছিলেন। যদিও তিনি একটিই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। সেটি জুনে পাভো নুর্মি গেমসে। সব মিলিয়ে ১৪ পয়েন্টে চতুর্থ স্থানে থেকে ডায়মন্ড লিগ ফাইনালে নামার যোগ্যতা পেয়েছিলেন নীরজ। তবে ফিটনেস নিয়ে চলতি মরসুমে ভুগতে হয়েছে নীরজকে। মনে করা হচ্ছে চলতি মরসুম শেষ হওয়ায় নীরজ এ বার কুঁচকির চোট সারাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy