কেকেআর প্রায় নক আউটের কাছাকাছি চলেই এসেছে। আরও একটা জয়, আর একটা সুনীল নারিনের অনবদ্য পারফরম্যান্স গৌতম গম্ভীরদের তুলে আনবে আরও উপরে। যে জায়গায় পৌঁছে ওরা দেখবে কী ভাবে অন্য টিমগুলো হার-জিতের জাঁতাকলে পিষতে পিষতে উঠে আসে।
বিশ্বের সব কিছুর সমাধান খুঁজে পাওয়া গেলেও নারিনের বোলিংয়ের রহস্যটা মনে হয় রহস্যই থেকে যাবে। এমন নয় যে ব্যাটসম্যান ওকে বা ওর হাত থেকে বল ছাড়াটা লক্ষ করে না। কিন্তু ব্যাটসম্যান সেটা দেখার পর যেটা আন্দাজ করে তার সঙ্গে পিচে পড়ার পর ডেলিভারির আকাশ-পাতাল তফাত হয়ে যায়। বলতে গেলে নারিন এ ব্যাপারে প্রায় অন্ধ, জড়ভরত করে রাখে ব্যাটসম্যানকে।
কেকেআরের প্রতিপক্ষ তাই ২০ ওভারের জায়গায় ১৬ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ পাচ্ছে বলে মনে হবে। এমন একটা ফর্ম্যাট যেখানে কখনও শেষ বল বা ৫-১০ রানে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়, সেখানে পাঁচ ভাগের এক ভাগ ওভার প্রায় হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকার ব্যাপারটা সামলানো খুবই কঠিন। ফলে ব্যাটসমানরা অন্য বোলারদের ওভারে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেট খুইয়ে বসছে।
কেকেআরের প্রতিপক্ষ পারথেরও নিশ্চয়ই বুধবারের ম্যাচ নিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। অবশ্য পারথ হারলেও ওদের কাছে সেটা বড় বিপর্যয় হবে না। কেননা প্রায় অনেক টিমেরই তো কেকেআরের কাছে কচুকাটা হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে শেষ দু’বলে দুটো ওভার বাউন্ডারি মেরে এর আগের ম্যাচে জেতায় পারথের এই আত্মবিশ্বাস জন্মাতে পারে যে কিছুই অসম্ভব নয়।
অন্য দিকে, কেকেআরকে এখনও হায়দরাবাদের বাইরে খেলতে হয়নি। যেটা ওদের কাছে অনেকটা ‘হোম ফ্যাক্টর’-এর মতো। তার উপর ওদের রিজার্ভ বেঞ্চও দুর্দান্ত। জাক কালিসকে এখনও মাঠে নামানোর প্রয়োজন হয়নি, গত ম্যাচে মণীশ পাণ্ডেও তো বেঞ্চে ছিল। বিনয় কুমার আর উমেশ যাদবও তাই। বলে না, কোনও টিম কতটা শক্তিশালী সেটা তার রিজার্ভ বেঞ্চ দেখলেই বোঝা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy