উইম্বলডন সেমিফাইনালে ২ ঘণ্টার কম সময়ে ইয়ানিক সিনারের কাছে হেরে গিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক প্রত্যাশা মতো লড়াই করতেই পারেননি। সরাসরি সেটে হারলেও হাল ছাড়ছেন না জোকোভিচ। অবসরের কথাও ভাবছেন না। বরং আগামী বছরও সেন্টার কোর্টে খেলার স্বপ্ন দেখছেন।
সেমিফাইনালের পর কথাগুলো বলার সময় আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি জোকার। পরাজয়, স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় কেঁদেছেন। জার্সির খোঁটে চোখ মুছেছেন। নিজেকে সামলে নিয়ে আবার ফিরে আসার কথা বলেছেন। হতাশ জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘অবশ্যই কষ্ট হচ্ছে। তবে আশা করব সেন্টার কোর্টে এটাই আমার শেষ ম্যাচ নয়। আজই উইম্বলডন কেরিয়ার শেষ করার কোনও পরিকল্পনা নেই আমার। অন্তত আরও এক বার এখানে ফিরে আসতে চাই।’’
২০২৩ সালের ইউএস ওপেনের পর আর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেননি জোকোভিচ। শুক্রবার হারের পর জোকার মেনে নিয়েছেন, বয়স তাঁর খেলায় প্রভাব ফেলছে। শরীর আগের মতো সঙ্গ দিচ্ছে না। সিনার বা কার্লোস আলকারাজ়দের মতো তরতাজা তরুণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্য নয়। নেতিবাচক ভাবে দেখি না। বয়স বাড়ছে। শরীরের ধকল বাড়ছে। যতটা সম্ভব শরীরের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করছি। তবু গত দেড় বছরের মতো কঠিন সময় কখনও কাটাইনি। সত্যি বলতে, এটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন। কারণ তরতাজা এবং ফিট থাকলে এখনও যথেষ্ট ভাল টেনিস খেলতে পারছি। এ বছরে সেটা প্রমাণও করেছি।’’ জোকার আরও বলেছেন, ‘‘এ বছর বিশ্বের সেরা পাঁচ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে। যেটা আমার শরীরের পক্ষে যথেষ্ট ধকলের ছিল। প্রতিযোগিতা যত বড় হয়, ধকলও তত বেশি হয়। তবে এ বছর প্রতিটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে উঠতে পেরেছি। আমাকে সিনার বা আলকারাজ়ের মতো তরুণদের সঙ্গে খেলতে হচ্ছে। ওরা ফিট, তীক্ষ্ণ। মনে হচ্ছে, অর্ধেক খালি ট্যাঙ্ক (শারীরিক সক্ষমতা) নিয়ে খেলতে নামছি। কঠিন ম্যাচগুলি এ ভাবে জেতা যায় না।’’
৩৮ বছরের জোকার একটা পর্যায়ের পর আটকে যাচ্ছেন। বার বার আটকে যাচ্ছেন। সেরা তরুণ খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ছেন। তবু আরও কিছু দিন লড়ে যেতে চান কোর্টে। রজার ফেডেরারের আট বার উইম্বলডন জেতার রেকর্ড স্পর্শ করতে জোকারের প্রয়োজন আর একটি খেতাব। হয়তো দীর্ঘ দিনের প্রতিপক্ষের রেকর্ডই আগামী বছরও তাঁকে টেনে আনবে বিশ্বের প্রাচীনতম টেনিস প্রতিযোগিতায়।