প্রাক্তন কোচ বেকারের সঙ্গে জোকোভিচ ফাইল চিত্র
নিজের হাতে নোভাক জোকোভিচকে তৈরি করেছিলেন বরিস বেকার। সেই জোকোভিচ এখন বিশ্বের এক নম্বর পুরুষ টেনিস তারকা। নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব। অথচ প্রাক্তন কোচ বেকার এখন সে সব থেকে অনেক দূরে। আর্থিক দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে আড়াই বছরের জেলের সাজা হয়েছে তিন বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নের। জেলবন্দি বেকারকে দেখে মন খারাপ জোকোভিচের। হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে তাঁর।
এই মুহূর্তে ফরাসি ওপেন খেলছেন জোকোভিচ। ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যামের লক্ষ্যে ছুটছেন তিনি। কিন্তু প্রাক্তন কোচের কথা উঠলেই মন ভারাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে জোকারের। প্রতিযোগিতার মাঝেই তাই বেকারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ওকে এ ভাবে দেখে আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। আমার পরিবারের সঙ্গে ওর ভাল সম্পর্ক। এত বছর ধরে আমাদের সম্পর্কও একই রকম রয়েছে। একসঙ্গে অনেক ভাল মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছি।’’
বেকার জেলে যাওয়ার পরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন জোকোভিচ। জানিয়েছেন, সব সময় তাঁদের পাশে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওর এক ছেলে নোয়ার সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। আমি বলেছি কোনও সাহায্যের দরকার হলে বলতে। আশা করছি বেকার এই পরিস্থিতিতেও দুর্বল হবে না।’’
দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ জেলের ৬ বর্গমিটারের কুঠুরিতে বন্দি থাকতে হচ্ছে বেকারকে। তিনি জানিয়েছেন, একাই থাকতে চান। অন্য বন্দিদের সঙ্গে কুঠুরি ভাগ করতে রাজি নন। জেল কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে অনুরোধও করেছেন। কিন্তু নিয়ম বড় বালাই। জেল জীবনের নিয়ম মতো প্রথম কয়েক দিনের পর তাঁকে হয়তো আরও কয়েক জন বন্দির সঙ্গে একটি বড় কুঠুরিতে রাখা হবে। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর অনুরোধে সাড়া দেননি।
কিউবার সিগার, ভাল ওয়াইন বেকারের বড় পছন্দের। কিন্তু লন্ডনের জেলে সে সব পাওয়া যায় না। তাই মুখে রুচি নেই বেকারের। জেলের খাবারের স্বাদ মোটেও ভাল লাগছে না তাঁর। তাই তিনি জেলের ক্যান্টিন থেকে চকোলেট, বিস্কুট বা কলা কিনে খাচ্ছেন মাঝে মধ্যে। জেলে বেকারের সাপ্তাহিক পারিশ্রমিক ১০ পাউন্ড। অর্থাৎ, ভারতীয় মুদ্রায় মাত্র ৯৫০ টাকা। তাতে কী আর বেকারের মতো টেনিস খেলোয়াড়ের চলে! তাও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তিন বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy