উমেশ যাদব। —ফাইল চিত্র।
এক যুগ আগের কথা। তিলক যাদব বলে এক ব্যক্তি স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর ছেলে একদিন সরকারি চাকরি করবেন। সেই ছেলে বাবার স্বপ্ন সফল করতে বসেও ছিলেন কনস্টেবলের পরীক্ষায়। কিন্তু পাশ করতে পারেননি। এক যুগ পেড়িয়ে গিয়েছে সেই ঘটনার। এখন তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সহকারি ম্যানেজার। মাঝের সময়টা মাত্র ১২ বছর। আর তার মধ্যেই বদলে গিয়েছে গোটা জীবনটাই। ভেবেছিলেন হবেন কনস্টেবল কিন্তু হয়ে গেলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। আর তার মাঝের সময়টা একটা রূপ কথার গল্প।
আরও খবর: রবি শাস্ত্রীর বোলিং কোচ ভরত অরুণই
২৯ বছরের উমেশ যাদব নাগপুরের রিজার্ভ ব্যাঙ্কে সহকারি ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এটাই তাঁর আসল পরিচয় নয়। তিনি পরিচিত দেশের শীর্ষ স্থানীয় ফাস্ট বোলার হিসেবে। সোমবারই তিনি এই পদে যোগ দিয়েছেন। আর তার পরই উড়ে যাবেন শ্রীলঙ্কা সিরিজ খেলতে। অবসর নেওয়ার পরই ওই ব্যাঙ্কের চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করতে পারবেন তিনি। যা খবর তাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ইংল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগেই আরবিআই-এর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছিল উমেশের। স্পোর্টস কোটায় এই চাকরি হলেও শুরুতেই এত বড় পোস্ট পাওয়াটা বড় প্রাপ্তি।
২০০৮এ যখন উমেশ যাদব প্রথম বিদর্ভের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন, তখন অধিনায়ক প্রীতম গান্ধে সরাসরি নিয়ে গিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ায়। সেখানে প্রথম চাকরি হলেও স্থায়ী করা হয়নি তাঁকে। মাঝে যে অন্য চাকরির সুযোগ আসেনি তেমন নয়। কিন্তু উমেশের মাথায় ছিল বাবার সেই স্বপ্ন। তাই বড় কোনও সরকারি চাকরিই করতে চেয়েছিলেন। তাই তাড়াহুড়ো করেননি। আর এর থেকে ভাল সুযোগ আর কিছু হতে পারে না। গত মরসুমে ৪০০ ওভার বল করা উমেশের পেসে কোনও ড্রপ হয়নি। কোনও ক্লান্তি নেই। প্রায় সব বলই ১৪০ কিলোমিটার বেগে এসেছে। নতুন চাকরির আনন্দে অবশ্য এখনও অগ্রাধিকার ভারতীয় ক্রিকেট দলই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy