ফের লজ্জায় ফেলল যুবভারতী!
তীব্র চাপের মধ্যেও আন্তোনিও হাবাসের টিমের আলোয় ফেরার দিনেই অন্ধকারে ডুবল আটলেটিকো দে কলকাতার ড্রেসিংরুম!
মাতেরাজ্জির টিমকে ফের হারানোর পর কলকাতার স্প্যানিশ কোচ উচ্ছ্বাসে ভাসতে ভাসতে যখন সাংবাদিক সম্মেলনে ঢুকছেন তখনই নিভে গেল স্টেডিয়ামের আলো।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তখন দু’টিমই ড্রেসিংরুমে ফিরেছে। দ্যুতি, বোরহা, হিউমরা সেলিব্রেশনের মেজাজে। হঠাৎ-ই ড্রেসিংরুমে অন্ধকার নেমে আসায় ফুটবলাররা একটু ঘাবড়েই গিয়েছিলেন। জানা গেল, বাথরুমে যাঁরা স্নান করতে ঢুকেছিলেন তাঁদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। বিদেশ থেকে আসা নিরাপত্তারক্ষীরা সন্ত্রস্ত হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে দেন। শেষমেশ আবিষ্কৃত হয়, শট সার্কিটের কারণে এই বিপত্তি।
মাতেরাজ্জির টিমে অবশ্য অন্ধকার নেমে এসেছিল ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পরেই। আইএসএলের শেষ চার থেকে কার্যত ছিটকে গিয়ে। আলো নেভার পর প্রায় দশ মিনিট অন্ধকার ছিল দুই ড্রেসিংরুম এবং সংলগ্ন এলাকা। এর আগে বহু বার যুবভারতীর আলো নিভেছে। তবে বেশির ভাগ সময়ে খেলা চলাকালীন। কাকতালীয় হলেও গত বছর আইএসএলেও আটলেটিকো-চেন্নাইয়ান ম্যাচের সময় যুবভারতীর ফ্লাড লাইট নিভে গিয়েছিল।
এ দিন যদিও আলোয় ঝলমল করছিলেন হাবাস এন্ড কোং। চেন্নাইকে হারানোর ফলে কলকাতার সেমিফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কিছুটা হলেও মসৃণ হয়েছে। তবু সতর্ক হিউমদের কোচ। বললেন, ‘‘সেমিফাইনালে যাবই, এখনই বলা যাবে না। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। পরের তিনটে ম্যাচই আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। গোয়া এখন সব থেকে ভাল ফর্মে রয়েছে।’’ যে ডুডু ওমাগবেমির সঙ্গে পাকা কথা বলেও টিম থেকে বাদ দিয়েছিলেন হাবাস, সেই ডুডুকে আটকানোর স্ট্র্যাটেজি ইতিমধ্যেই তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। গোল করে আটলেটিকোকে জেতানোর পর হিউমও বলে গেলেন, ‘‘গোয়া কেমন খেলছে দেখলেন তো? ওদের নিয়ে তো ভাবতেই হবে।’’ আর হারের হ্যাটট্রিকের পর হতাশ মাতেরাজ্জি আবার ম্যাচের পর বলেই ফেললেন, ‘‘আমরা নিজেরাই তো নিজেদের হাস্যকর করে তুলেছি।’’
যদিও হাবাস বা মাতেরাজ্জি নন, এ দিন ম্যাচ শেষে প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল যুবভারতীর আলো নিভে যাওয়া। দেশ জুড়ে যুবভারতীর ঘাসের মাঠ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। তার মধ্যেই আলো নিভে নতুন করে কলঙ্কিত হল সল্টলেক স্টেডিয়াম।