গত কয়েক বছরে যে ভাবে ভারতে ব্যাডমিন্টনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাতে উচ্ছ্বসিত প্রকাশ পাড়ুকোন। এখন প্রায় প্রতিটি শহরে ব্যাডমিন্টনের অ্যাকাডেমি রয়েছে। অনেক কম বয়স থেকে ছেলে-মেয়েরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
ভারতের টমাস কাপ জয়ী দল। ছবি: টুইটার
ব্যাডমিন্টনের ইতিহাসে ভারত প্রথম বার টমাস কাপ জেতার পরে উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারছেন না ভারতের প্রাক্তন ব্যাডমিন্টন তারকারা। পুল্লেলা গোপীচন্দ যেমন এই জয়কে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতের ১৯৮৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও উপরে রাখছেন। ঠিক তেমনই ভারতের আর এক প্রাক্তন শাটলারের মনে হচ্ছে এ বার বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। যে যাত্রা তিনি শুরু করেছিলেন সেই যাত্রা শেষ হল বলেই মনে করছেন অল ইংল্যান্ড জয়ী প্রকাশ পাড়ুকোন।
কিদম্বি শ্রীকান্তরা টমাস কাপ জেতার পরে উচ্ছ্বসিত প্রকাশ বলেন, ‘‘যে যাত্রা আমি শুরু করেছিলাম তা হয়তো এ বার শেষ হল। আমি চাইনি যাত্রা শেষ হোক। কিন্তু তা হওয়ার ছিল। ১৯৮০ সালে অল ইংল্যান্ডে আমি ব্যক্তিগত পদক জিতেছিলাম। দলগত প্রচেষ্টার দিক থেকে টমাস কাপে জয় সেই জয়ের থেকেও উপরে থাকবে।’’
ভারতে ষাটের দশক থেকে ভাল ভাল ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় উঠেছে। কিন্তু একসঙ্গে এত জন ভাল খেলোয়াড় ছিল না বলেই দলগত প্রতিযোগিতায় আগে এত বড় সাফল্য আসেনি বলেই মনে করেন প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘‘ষাটের দশক থেকে আমাদের ভাল শাটলার ছিল। কিন্তু এক সময়ে এক বা দু’জন ভাল শাটলার থাকত। কখনও সিঙ্গলসে ভাল খেলোয়াড় বেশি এসেছে। কিন্তু ডাবলসে বরাবর আমরা দুর্বল ছিলাম। কিন্তু সেখানে আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করেছি। এখন সব ক্ষেত্রে আমাদের ভাল খেলোয়াড় রয়েছে। তাই সাফল্য আসছে।’’
গত কয়েক বছরে যে ভাবে ভারতে ধীরে ধীরে ব্যাডমিন্টনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাতে উচ্ছ্বসিত প্রকাশ। এখন প্রায় প্রতিটি শহরে ব্যাডমিন্টনের অ্যাকাডেমি রয়েছে। অনেক কম বয়স থেকে ছেলে-মেয়েরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ফলে অনেক অল্প বয়স থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই অভিজ্ঞতা তাদের পরিণত করছে। লক্ষ্য সেনের মতো শাটলাররা অনেক কম বয়সেই ব্যাডমিন্টনের জগতে নিজেদের পরিচিতি তৈরি করেছেন। ব্যাডমিন্টনের এই জনপ্রিয়তার জন্য ভারতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থার প্রশংসা করেছেন প্রকাশ।
এই প্রসঙ্গে প্রকাশ বলেন, ‘‘আগে আমরা একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৩, ১৫, ১৭ ও ১৯ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতাম। এখন সেটা করতে গেলে দেখা যাবে প্রতিযোগীর সংখ্যা হয়তো ১০ হাজার। এতটাই জনপ্রিয়তা বেড়েছে ব্যাডমিন্টনের। পিরামিডের নীচের তলায় যত বেশি সংখ্যা থাকবে তার ভিত তত মজবুত হবে। আর উপরের তলায় সাফল্য তত বেশি আসবে। সেটাই এখন হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy