অভিনব: পূজারাও এখন স্লেজিং পাঠ নিতে তৈরি। ফাইল চিত্র
মাঠে তাঁকে আগ্রাসী মেজাজে দেখা গিয়েছে, এ রকম দৃশ্য খুব কষ্ট করেও মনে করা কঠিন। আর স্লেজিং করছেন ব্যাটসম্যানদের? না, সে রকম ঘটনাও মনে করা দুষ্কর। কিন্তু সেই চেতেশ্বর পূজারাই এখন বলছেন, প্রয়োজনে তিনিও স্লেজিং করতে প্রস্তুত।
বিসিসিআই টিভি-তে অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে কথা বলার সময় পূজারা বলেছেন, ‘‘আমি কিন্তু ফিফা (ভিডিও) খেলার সময় যথেষ্ট আওয়াজ-টাওয়াজ করি। আর ইদানীং মাঠেও চুপ থাকি না। সত্যি কথা বলতে কী, আমি এখন স্লেজিং করা শিখছি। যদি কোনও ব্যাটসম্যানকে স্লেজ করা প্রয়োজন হয়, তা হলে করতে হবে। স্লেজ করলে যদি আমাদের বোলারদের সুবিধে হয়, তা হলে আমি স্লেজ করতে তৈরি।’’
কলম্বোয় দ্বিতীয় টেস্টে পূজারা-রাহানের ২১৭ রানের জুটি ভারতকে জিততে অনেকটাই সাহায্য করেছিল। ভারতীয় ক্রিকেটের এই মুহূর্তে টেকনিক্যালি দুই সেরা ব্যাটসম্যান কথা বলেছেন ক্রিকেটের বাইরের দিক নিয়েও। যেমন, রাহানের সম্পর্কে চালু ধারণাটা হল, তিনি নিজেকে খুব গুটিয়ে রাখেন। রাহানে নিজে যার সঙ্গে একমত নন। তিনি বলছেন, ‘‘আমি কিন্তু সে রকম গম্ভীর গোছের মানুষ নই। আমি কথা বলতে ভালবাসি। এমনকী স্ত্রীর সঙ্গেও প্রচুর কথা বলি।’’ এর পরে নিজের ছেলেবেলা নিয়ে রাহানে বলেছেন, ‘‘আসলে সেই ছোটবেলা থেকে আমি একটু চুপচাপ। হতে পারে সেটা আমার পারিবারিক পরিবেশের জন্য। তবে শান্ত থাকাটা কিন্তু অনেক উপকারে আসে। বিশেষ করে মাঠে থাকার সময়। তবে এটা বলব, এখন আর অত চুপচাপ থাকি না।’’
আরও পড়ুন:
পাল্লেকেলি টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন রঙ্গনা হেরাথ
এর পরে দু’জনে ফিরে যান দ্বিতীয় টেস্টের কথায়। যেখানে ছ’শোর ওপর রান তোলার পিছনে এই দু’জনের প্রধান ভূমিকা ছিল। ‘‘ব্যাটিং করাটা এসএসসি-তে মোটেও সোজা কাজ ছিল না। বল বেশ ঘুরছিল। আমি চেয়েছিলাম আগে জমে যেতে। ড্রেসিংরুমে বসে কল্পনা করছিলাম, কী ভাবে স্পিনারদের খেলব। চেয়েছিলাম ওদের ছন্দ নষ্ট করে দিতে,’’ বলেছেন রাহানে।
পাশাপাশি আর একটা ব্যাপারের কথা বলেছেন রাহানে। স্লিপ ফিল্ডিং। রাহানে বলছেন, ‘‘আমার এখনও মনে আছে, শুরুর দিকটায় খুব ক্যাচ ফেলতাম। তার পরে ব্যাপারটা নিয়ে পরিশ্রম করা শুরু করি। আগের বার যখন শ্রীলঙ্কায় এসেছিলাম, ফিল্ডিং প্র্যাকটিসের সময় প্রতি সেশনে একশোটা করে ক্যাচ নিতাম। এখনও উন্নতি করার চেষ্টা করছি।’’
দু’জনের কথা শেষ হয় পূজারার বড় ইনিংস খেলার প্রবণতা নিয়ে আলোচনায়। যে প্রসঙ্গ উঠতে পূজারা বলেন, ‘‘আমার মনে আছে নিজের প্রথম অনূর্ধ্ব ১৪ ম্যাচে তিনশো রান করেছিলাম। বড় ইনিংস খেলার ব্যাপারটা ওখান থেকেই শুরু। আমি সব সময় মনে করে এসেছি, চার দিনের ম্যাচ জিততে গেলে বড় ইনিংস খেলতেই হবে। শুধু সেঞ্চুরিতে কাজ হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy