Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Rafael Nadal

Rafael Nadal: প্যারিস এবং ১৪তম খেতাব! প্রেমের শহর মিলিয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ আর রাফায়েল নাদালকে

প্যারিসেই ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এক সপ্তাহ পরে রাফায়েল নাদালও ১৪তম খেতাব জিতে ফেললেন প্যারিসে। অদ্ভুত সমাপতন।

মিলে গেলেন রিয়াল এবং নাদাল।

মিলে গেলেন রিয়াল এবং নাদাল। ছবি রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২২ ২১:৩২
Share: Save:

গত রবিবারই প্যারিসের স্তাদ দ্য ফ্রাঁসে লিভারপুলকে হারিয়ে ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এই রবিবার সেই একই শহরে ফরাসি ওপেন জিতলেন রাফায়েল নাদাল, যা তাঁর ১৪তম খেতাব। ঠিক এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রেমের শহরে এ এক আশ্চর্য সমাপতন! ঘটনাচক্রে, নাদাল নিজেও রিয়ালের অন্ধ ভক্ত। এমনকি, ফাইনালে প্রিয় দলের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামেও হাজির হয়ে গিয়েছিলেন। পরের দিন চতুর্থ রাউন্ডের কঠিন ম্যাচ থাকা সত্ত্বেও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ ভাবেই প্যারিস কোথাও যেন মিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ এবং রাফায়েল নাদালকে।

খেতাবজয়ের আনন্দের মধ্যে মিল থাকলেও, গত রবিবার এবং এই রবিবারের মধ্যে কিছু অমিল রয়েছে। সে দিন রিয়ালকে অনেক লড়াই করে জিততে হয়েছিল লিভারপুলের বিপক্ষে। এ দিন নাদালকে অবশ্য লড়াইয়ের ধারেকাছেও যেতে হল না। সরাসরি সেটে উড়িয়ে দিলেন বিপক্ষ ক্যাসপার রুদকে। গত রবিবার নাদাল দেখেছিলেন কী ভাবে প্রিয় দলকে প্রতিপক্ষের কাছে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এই রবিবার টেনিস কোর্টে নাদাল ছিলেন ভয়ঙ্কর। প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দেননি। সার্ভিস, রিটার্ন, নেট প্লে — সবেতেই তিনি ছিলেন অসাধারণ। সঙ্গে ছিল প্যারিসের জনসমর্থন।

ক্যাসপার রুদ যেন এক সপ্তাহ আগের মহম্মদ সালাহ। সাড়া জাগিয়েও থেকে গেলেন খলনায়ক হিসাবেই। প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই বাকিদের পিছনে ফেলে ফাইনালে উঠে গিয়েছিলেন তিনি। মারিন চিলিচ বাদে বিরাট নামজাদা কাউকে হারাননি ঠিকই। সে অর্থে ফাইনালেই তাঁকে সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে সালাহের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে নামেননি একদমই। বরং এটা বার বার বলে গিয়েছেন, স্প্যানিশ প্রতিপক্ষ তাঁর আদর্শ। তাঁকে দেখেই বড় হয়েছেন। কিন্তু অঘটন ঘটানোর মতো কোনও রসদ তাঁর কাছে ছিল না। না থাকাই স্বাভাবিক। এই সুরকির কোর্ট, তার প্রতিটি ধুলো, প্রতিটি গুঁড়ো নাদালের হাতে তালুর মতো চেনা। তাই একই কোর্টে খেলতে গিয়ে আলেকজান্ডার জেরেভ চোট পেলেও, নাদাল পান না। গোড়ালির অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে পারেন, কিন্তু লড়াইয়ের মঞ্চ থেকে বিদায় নেন না।

রিয়াল ছাড়া আর কার সঙ্গেই বা নাদালের তুলনা করা যায়। দলগত ইভেন্টের ফাইনালে যেমন রিয়ালের ধারাবাহিকতার কোনও বিকল্প নেই, তেমনই ব্যক্তিগত ইভেন্টের নাদালের তুলনা কারওর সঙ্গে করা চলে না। রিয়াল ১৭ বার ফাইনালে ১৪ বারই জিতেছে। তার মধ্যে শেষ পাঁচ বারের পাঁচ বারই। নাদালও প্রতি বার ফাইনালে উঠে খেতাব জিতেছেন। রিয়াল এবং তাঁর আত্মিক সম্পর্কও লক্ষণীয়। শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল কেন, অবসর সময়ে রিয়ালের ম্যাচ থাকলে নাদাল মাঝেমাঝেই চলে যান দেখতে। ফুটবলপ্রেমীরা জানেন, মায়োরকা থেকে তাঁর উদ্যোগেই মার্কো আসেনসিয়োকে এক সময় সই করিয়েছিল রিয়াল। সেই নাদালের জয়ে সবার আগে শুভেচ্ছাবার্তা আসবে রিয়ালের তরফে, এটাই তো স্বাভাবিক। ম্যাচ শেষ হতেই টুইট করে রিয়াল লিখেছে, ‘ঐতিহাসিক কীর্তির জন্য শুভেচ্ছা নাদাল। তুমি যে মাদ্রিদের সমর্থক এবং এই ক্লাবের একজন সম্মানীয় সদস্য, এটা মনে করেই আমরা গর্বিত। সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় তুমিই। ২২তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম, রোলাঁ গারোজে ১৪তম খেতাবের জন্য শুভেচ্ছা। সন্দেহ নেই যে ১৪ সংখ্যাটা এ বছরের ম্যাজিক সংখ্যা।’

১৪। ম্যাজিক সংখ্যা। কোনও সন্দেহ থাকার কথাই নয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE