Advertisement
E-Paper

সুর বদলে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে রঘু

চব্বিশ ঘণ্টা আগেও বারাসতে কলকাতা লিগের ম্যাচে যাঁরা মারামারি আর ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। চব্বিশ ঘণ্টা পেরোল না। তাঁরাই হাতে হাত মিলিয়ে ছবি তুলতে পোজ দিলেন ফটোগ্রাফারদের। ময়দানে যে কত কীই ঘটে! সোমবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে এসে লাল-হলুদ কর্তা মণীশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিলেন সাদার্ন কোচ রঘু নন্দী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৫৬
মারামারির পরের দিন হাত মেলালেন হাসিমুখে। ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে রঘু আর মণীশ। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

মারামারির পরের দিন হাত মেলালেন হাসিমুখে। ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে রঘু আর মণীশ। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

চব্বিশ ঘণ্টা আগেও বারাসতে কলকাতা লিগের ম্যাচে যাঁরা মারামারি আর ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। চব্বিশ ঘণ্টা পেরোল না। তাঁরাই হাতে হাত মিলিয়ে ছবি তুলতে পোজ দিলেন ফটোগ্রাফারদের।

ময়দানে যে কত কীই ঘটে!

সোমবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে এসে লাল-হলুদ কর্তা মণীশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিলেন সাদার্ন কোচ রঘু নন্দী। ইস্টবেঙ্গল তাঁবু ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আগে রঘু বেশ উছ্বসিত ভাবেই বলেও যান, “১৯৮৪ সালে এই ক্লাবের ফুটবলার ছিলাম। রবিবারের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। বারাসতে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। মাঠের ঘটনা মাঠেই মিটিয়ে নিলাম।” সেই রঘু যিনি আগের দিন রাতে বলেছিলেন, “হাসপাতালে গিয়ে মার খাওয়ার জায়গাগুলো দেখিয়েছি। এফআইআর করবই, যাতে ওরা শাস্তি পায়।” আর মণীশ? ইস্টবেঙ্গলের ম্যানেজার হিসাবে বুকে রঘুর চাপড় খেয়ে যিনি এ দিনই সকালে কার্ডিওলজিস্টের কাছে ছুটেছিলেন। রঘু থানায় গেলে তিনিও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পাল্টা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিয়ে অভিযোগের জন্য।

হম্বিতম্বি সব জলাঞ্জলি। দু’জনকেই দেখা গেল ইস্টবেঙ্গল তাঁবু থেকে বের হচ্ছেন হাসিমুখে।

রবিবার বারাসতে ইস্টবেঙ্গল-সাদার্ন ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমের সামনে হাতাহাতি এবং ধাক্কাধাক্কি হয় লাল-হলুদ ম্যানেজার মণীশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাদার্ন কোচ রঘু নন্দীর। জড়িয়ে পড়েন ইস্টবেঙ্গলের কিছু আধা কর্তা। এর পরেই সাদার্ন কর্তাদের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। রাতেই আসরে নামেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। বোধোদয় হয় রঘু-মণীশ দু’জনেরই। মধ্যস্থতার দায়িত্ব নেন সাদার্ন সমিতির চিফ পেট্রন সচ্চিদানন্দ বন্দোপাধ্যায়। তাঁকে ফোন করে ব্যাপারটা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। তাঁর উদ্যোগেই এ দিন বিকেলে ছেলে রাজদীপ এবং এক সাদার্ন কর্তাকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে আসেন রঘু। মণীশবাবু বলেন, “সব মিটে গিয়েছে। দু’পক্ষই নিজেদের আচরণের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছি।” ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদারও বলেন, “রবিবারের ঘটনা কাম্য নয়। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এর নিন্দা করেছি। আলোচনার পর এখন চ্যাপ্টার ক্লোজড।”

east bengal raghu sports news online sports news football coach kolkata league
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy