মুখোশ পরে বাঁচতে হল মনোজদের। শনিবার কোটলায়। ছবি: প্রেম সিংহ।
কুয়াশার মতো। কিন্তু কুয়াশা নয়। ধোঁয়াশা। পুরোটাই দূষণের কুফল। দিওয়ালিতে লাগামহীন আতসবাজি পোড়ানোর ফল নিজেদেরই ভুগতে হচ্ছে দিল্লিবাসীকে। এ বার তার প্রভাব পড়ল রঞ্জি ট্রফির ম্যাচেও।
শনিবার বাংলা ও গুজরাতের ক্রিকেটাররা সকালে মাঠে নেমেই বুঝতে পারেন পরিবেশ প্রতিকুল। এত দূষিত যে, চোখ জ্বালা করছিল তাঁদের। কয়েক জনের তো শ্বাসকষ্টও হওয়া শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
তার উপর এমন ধোঁয়াশা যে, একটু দূরের জিনিসও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছিল না। এই অবস্থায় খেলা শুরু করাটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয় আম্পায়ার ও ক্রিকেটারদের। তাই বিকেল চারটে পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু বাকি তিন দিনও খেলা হবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। স্থানীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এ রকম পরিবেশ এখন কয়েক দিন থাকবে রাজধানীতে। ফলে পুরো ম্যাচটাই অনিশ্চয়তায় ঢাকা। দিল্লিতে এ দিন আরও একটা রঞ্জি ম্যাচ শুরুর কথা ছিল। সেটাও একই কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
বাংলার ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি রাতে ফোনে বলছিলেন, ‘‘আমি কখনও এমন পরিস্থিতিতে খেলা বন্ধ হতে দেখিনি। মাঠে নেমে চোখ জ্বালা করছিল। অন্যদের কারও শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকতে পারে। আমার সেই সমস্যা হয়নি। তবে খেলা শুরু হলে হয়তো শ্বাসকষ্ট হত।’’ মনোজ-সহ বাংলার কয়েকজন ক্রিকেটারকে এ দিন ফিরোজ শাহ কোটলায় মাস্ক পরেও ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা এ দিন জানান, ‘‘এই অবস্থায় এক ঘণ্টা মাঠে থাকলে ক্রিকেটাররা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সেই ঝুঁকি নেওয়া মোটেই উচিত না।’’
এখন দেখার আগামী তিন দিনও খেলা হবে কি না। দুই দল এক ইনিংস করে ব্যাট করতে না পারলে এক পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়ে যাবে দু’দলের মধ্যে। এ দিকে বাংলা দলের দুই বাড়তি সদস্যকে ড্রেসিংরুমে ঢুকতে দিতে রাজি হলেন না ম্যাচ রেফারিও। মুকেশ কুমারকে অনূর্ধ্ব ২৩ ম্যাচের জন্য কলকাতায় ফেরানো হচ্ছে। ইশান পোড়েলকে ড্রেসিংরুমের বাইরেই থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy