মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ফাইল চিত্র
এক দশক পেরিয়ে গেলেও তৎকালীন ভারতীয় দলের ম্যানেজার রঞ্জীব বিসওয়ালের স্মৃতিতে এখনও টাটকা ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের মধুর স্মৃতি। ২৮ বছরের প্রতীক্ষার পর সেই বছরই বিশ্বকাপ জেতে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারত। তবে ভারতীয় দলের বিশ্বজয়ের থেকেও পরের দিনই মুণ্ডিত মস্তক ধোনিকে দেখে সবথেকে বেশি চমকে গিয়েছিলেন বিসওয়াল।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কোনও ধারণাই ছিল না ফাইনালের পরের দিন কী অপেক্ষা করে আছে। জয়ের পর অনেক রাত অবধি সাজঘরে উৎসব করি। এরপর সাজঘরের বাইরে গিয়েও ভোর চারটে অবধি চলে আমাদের উৎসব। ঘরে ফিরে ঘুম থেকে উঠে দেখি অবাক দৃশ্য। ধোনি ন্যাড়া হয়ে গিয়েছেন। এটা এমন এক মুহূর্ত, যা আমার স্মৃতিতে সারা জীবন থেকে যাবে।’’
সারা রাত ধরেই উৎসবে সামিল হয়েছিলেন ধোনি। এমনটাই জানান বিসওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে পুরোটাই আনন্দ করে কাটিয়েছিল ধোনি। তারপর হোটেলে গিয়ে ন্যাড়া হয়ে যায়। এই ব্যাপারে কাউকেই কিছু বলেনি ও। ধোনি এমনই। নিজের আবেগ নিজের মধ্যেই রাখতে পছন্দ করেন।’’
সেমিফাইনালে ভারত হারিয়েছিল পাকিস্তানকে। সেই ম্যাচে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল। চাপও ছিল বিস্তর। এমনটাই জানালেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী ম্যানেজার। তিনি বলেন, ‘‘একে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ। তার ওপর আবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। দর্শকের চাপও ছিল খুব বেশি। তবে ধোনি বা প্রশিক্ষক গ্যারি কার্স্টেনের মধ্যে চাপের লক্ষণ আমরা একেবারেই দেখিনি। আর এর ফলেই গোটা দল অনেকটা চাপমুক্ত ছিল। ক্রিকেটাররা যাতে পুরোপুরি খেলায় মনযোগী হতে পারে সেটাই আমার কাছে মূল লক্ষ্য ছিল।’’
বিশ্বকাপের মাঝে সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে অনেক সাক্ষাৎকারের অনুরোধ এসেছিল। তবে সংবাদমাধ্যম দলকে বিরক্ত করতে চায়নি। তিনি বলেন, ‘‘সাক্ষাৎকারের জন্য প্রচুর আবেদন এসেছিল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সকলেই বুঝেছিল খেলা জেতাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমার এখনও ভাবলে গায়ে কাঁটা দেয় ২০১১ সালের ২ এপ্রিল গোটা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম জুড়ে সকলে বন্দেমাতরম গাইছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy