শিলিগুড়িতে রিচা। —নিজস্ব চিত্র
এখন আঙুলের চোট সারাতে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাবিলিটেশনে রয়েছি। তারই মধ্যে রিচার খবরটা পেয়ে দারুণ লেগেছে। বাংলা থেকে আরও একজন জাতীয় দলে সুযোগ পেল। আর সেটা শিলিগুড়ি শহর থেকেই। এটাই দারুণ ব্যাপার। শিলিগুড়িবাসীর গর্বিত হওয়া দরকার। আমার তো মনে হয় উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে, বাংলার কাছেও এটা বড় ব্যাপার।
আমি রিচাকে বলব ও যেন নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই সব সময় খেলার চেষ্টা করে। যে রকম খেলে এতদূর উঠে এসেছে সেই ধারাটা যেন বজায় থাকে। ওর মধ্যে ভাল কিছু রয়েছে বলেই তো এতটা উঠতে পেরেছে। কোনও কিছুর জন্য কখনও আফসোস করে কোনও লাভ হয় না। সব সময় সেটাকে ওভারকাম করার চেষ্টা করতে হবে। কার কখন কী ভাবে সুযোগ আসে বা চলে যায় সেটা কেউ জানে না। তাই যখন যে সুযোগ আসছে সেটাকেই কাজে লাগাতে হবে। পরিশ্রম করা, নিয়মিত অনুশীলন এগুলো নিয়ে তো নতুন করে বলার বিষয় নেই। ও সবটাই জানে। বিভিন্ন ম্যাচে কে কী রকম রিঅ্যাক্ট করছে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
রিচাকে অনুশীলনে দেখেছি। ও এই বয়সেই সব বিভাগে খেলেছে। অনূর্ধ্ব ১৬, অনূর্ধ্ব ১৯, অনূর্ধ ২৩, এমনকী সিনিয়রও খেলেছে। ওর ব্যাট হাতে মার রয়েছে। বোলিং-ও করে। বড় ম্যাচ খেলতে নামলে চাপ, টেনশন থাকতে পারে। তবে যে পরিস্থিতিই সামনে আসুক না কেন সেটাকে ওভারকাম করতেই হবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় ক্রিকেট দলে স্থান, রিচাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস মাঠে
আমার মনে হয় কোনও চাপ না রেখে রিচার ‘ফ্রি মাইন্ড’-এ খেলা উচিত। সুযোগ পেলে তা ঠিকমতো কাজে লাগাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy