ঋষভ পন্থ এবং ঋদ্ধিমান সাহা।
করোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন। নিভৃতবাস কাটিয়ে বাড়িতে ফিরলেও পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি। শোনা যাচ্ছে, আসন্ন ইংল্যান্ড সফরে তাঁর ‘বিকল্প’ হিসেবে রাখা হয়েছে শ্রীকর ভরতকে। তবে রাখঢাক না করেই ঋদ্ধি বলে দিলেন, বিশ্ব টেস্ট ফাইনালে এক নম্বর কিপার হওয়া উচিত ঋষভ পন্থেরই।
অস্ট্রেলিয়া সফরে দিন-রাতের টেস্টে লজ্জাজনক ভাবে হারে ভারত। ওই ম্যাচের পরেই বাদ দেওয়া হয় ঋদ্ধিমানকে। পন্থ তাঁর জায়গায় নেমে নজর কাড়েন। ব্রিসবেনে ভারতকে সিরিজ জেতাতেও মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।
এক ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধিমান তাই বলেছেন, “বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ কয়েকটা ম্যাচে পন্থ ভাল খেলেছে। তাই ওরই প্রথম উইকেটকিপার হিসেবে সুযোগ পাওয়া উচিত। আমি অপেক্ষা করতে রাজি। যদি কোনও সুযোগ আসে তাহলে নিজের সেরাটা দেব। একটা সুযোগের জন্য অনুশীলন করে যেতে রাজি।”
অনেকেই মনে করছেন, ভরতকে নাকি তাঁর বিকল্প হিসেবে ডাকা হয়েছে। ঋদ্ধিমান ব্যাপারটা এ ভাবে দেখতে রাজি নন। বলেছেন, “গত সিরিজে তো আমার কোভিড হয়নি। তখনও তো ভরত দলে ছিল। তখন তো কেউ বলেনি ওকে আমার বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। তাহলে এখন বলা হচ্ছে কেন? আমার কোভিড হয়েছে বলে? আমার মতে, তৃতীয় উইকেটকিপার রাখা হয়েছে বিদেশে ঝুঁকি এড়ানোর জন্যেই।”
কী ধরনের ঝুঁকি আসতে পারে? ঋদ্ধির ব্যাখ্যা, “সংক্রমণ যেখান থেকে খুশি হতে পারে। দু’জন কিপার তো এখন সব দলে থাকে। কিন্তু তার মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে চিন্তায় পড়তে হবে। তাই তৃতীয় উইকেটকিপার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া, দল পরিচালকদের যদি আমার উফর বিশ্বাসই না থাকত, তাহলে তো আমাকে দলেই নিত না। ইংল্যান্ডের উড়ানে যখন আমার নাম রয়েছে তখন নিশ্চয়ই আমার উপর বিশ্বাসও রাখা হয়েছে।”
বোর্ডের অনুমতি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ঋদ্ধি। কিন্তু আগামী ২৪ তারিখই হয়তো মুম্বই পাড়ি দেবেন তিনি। ইংল্যান্ডের পরিবারকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলেও, ঋদ্ধিমান জানালেন, তিনি পরিবারকে সঙ্গে নেবেন না।
ঋদ্ধির কথায়, “ক্রীড়াবিদদের জীবনটাই এরকম। কিছুদিনের জন্যে বাড়ি ফিরে আবার সফরে চলে যেতে হয়। শুনেছি পরিবারকে ইংল্যান্ডে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। কিন্তু আমার সন্তানরা খুবই ছোট। ওরা একটানা এতদিন বদ্ধ ঘরে থাকতে পারবে না। তাই এ বার আমি পরিবার নিয়ে যাচ্ছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy