ডালাসে বন্দুকবাজদের আক্রমণের ঘটনায় রীতিমতো চিন্তায় উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামস। গতকালই স্টেফি গ্রাফকে ছুঁয়ে ফেলেছেন ২২টি গ্র্যান্ডস্লাম জিতে। আর তার পরই নিজের চিন্তার কথা জানিয়েছেন তিনি। পাঁচ পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে দুঃখিত তিনি। শুধু তাই নয় তিনি হতাশ আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান বর্ণবিদ্বেষের ঘটনায়। চিন্তিত তাঁর পরিবারকে নিয়েও। তিনি বলেন, ‘‘আমার আত্মীয়কে ভাবছিলাম ফোন করে বলব বাইরে যেও না। তোমাকে যদি গাড়ির মধ্যে পাওয়া যায় তাহলে হয়তো তোমার সঙ্গে আর দেখা হবে না।’’ এটা বলেই আবেগান্বিত হয়ে পড়়েন উইলিয়ামস।
অল ইংল্যান্ড ক্লাবে তখন জয়ের পরের উল্লসিত সাংবাদিক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এত মৃত্যু, এত বর্ণবিদ্বেষ সেটা হতে দেয়নি। বরং রেকর্ড স্পর্শ করেও উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বলেন, ‘‘আমি খুব চিন্তাই রয়েছি। ওরা সবাই খুব ভাল। কালোদের গুলি করে মেরে ফেলাটা কোনও কিছুর শেষ হতে পারে না। হিংসা কিছুর জবাব হতে পারে না। ডালাসে শুটিংয়ের ঘটনা সত্যিই খুব দুঃখজনক। মৃত্যু কারও শাস্তি হতে পারে না। তাঁর গায়ের রং কী বা সে কোথা থেকে এসেছে সেটাও বিষয় হতে পারে না। সবার আগে সে মানুষ।’’
অতীতে ব্যক্তিগতভাবে বন্দুকবাজদের হিংসা ছুঁয়ে গিয়েছে উইলিয়াম ও তাঁর পরিবারকে। ২০০৩ সালে সেরেনাদের বোন ইয়েতুন্দে প্রিন্স বন্দুকবাজদের শিকার হয়েছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলেসের সেই জায়গায় যেখানে বড়় হয়েছিলেন সেরেনা। ৩১ বছরের প্রিন্স উইলিয়ামস বোনেদের ব্যাক্তিগত সহকারি হিসেবে কাজ করতেন। যে সময় তাঁর উপর হামলা হয় তখন তিনি তাঁর বন্ধুর সঙ্গে গাড়়ির মধ্যে ছিলেন। যদিও তাঁর কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু সেরেনা বলেন, ‘‘আমাদের এটা শেখা উচিত একে অপরকে কী ভাবে ভালবাসতে হয়। এখন যা অবস্থা তা খুবই দুঃখজনক। যা হচ্ছে সেটা খুব বেদনাদায়ক।’’
আরও খবর
স্টেফিকে ছুঁলেও সেরিনাকে সর্বকালের সেরা বলব না
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy