উচ্ছ্বাস: ম্যাচ জিতে হালেপ ও রেবাকিনা (ডান দিকে)। বুধবার। ছবি রয়টার্স।
তিনি ২০১৯ সালের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু ২০২০ সালে করোনার জন্য ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বাতিল হয়ে যাওয়ায় নামতে পারেননি। খেলেননি গত বছরও। চোটের জন্য নাম তুলে নিতে বাধ্য হওয়ায়। তবে এ বার তিনি দ্বিতীয় উইম্বলডন ট্রফি জয়ের আর দু’ধাপ দুরে। তিনি— সিমোনা হালেপ। বুধবার রোমানিয়ার তারকা স্ট্রেট সেটে হারালেন আমান্ডা আনিসিমোভাকে। ফল ৬-২, ৬-৪।
গোটা ম্যাচ জুড়েই দাপট ছিল ষোলো নম্বর বাছাই হালেপের। মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী আনিসিমোভা এ বারের ২০ নম্বর বাছাই কিন্তু হালেপের সামনে সে ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ‘‘গত বছর আমার জন্য খুব কঠিন গিয়েছে। এখন আবার আমার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি,’’ ম্যাচ জিতে বলেন হালেপ। তিনি এই নিয়ে তৃতীয় বার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠলেন। ‘‘আবেগরুদ্ধ লাগছে। আমার কাছে সেমিফাইনালে ওঠাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচে নিজের উপরে বিশ্বাস রেখে গিয়েছি। তারই ফল পাচ্ছি,’’ বলেছেন হালেপ। যাঁর কোচ এখন প্যাট্রিক মৌরাতোগ্লৌ। সেরিনা উইলিয়ামসের প্রাক্তন কোচ তিনি।
সেমিফাইনালে হালেপ মুখোমুখি হবেন এলেনা রেবাকিনার। ১৭তম বাছাই রেবাকিনা ৪-৬, ৬-২, ৬-৩ ফলে হারান আলা টমলানোভিচকে। তিনি কাজ়াখস্তানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষ চারে ওঠার নজির গড়লেন। ২৩ বছর বয়সি রেবাকিনা খেলোয়াড় জীবনে দ্বিতীয় বার খেলছেন উইম্বলডনে। গত বছর তিনি চতুর্থ রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন। এ দিনও ম্যাচের প্রথমে তিনি চাপে পড়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড়ের দাপটের সামনে। প্রথম সেটও হারান কিন্তু দ্বিতীয় সেট থেকে ছন্দ ফিরে পান। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা একটু ধীর গতিতে শুরু করেছি। চাপেও ছিলাম। তবে যত ম্যাচ এগিয়েছে তত আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি।’’ শেষ চারে তাঁর সামনে হালেপ। যা নিয়ে রেবাকিনা বলেন, ‘‘খুব কঠিন একটা ম্যাচ হবে। তবে আমি চেষ্টা করব নিজেরসেরাটা দেওয়ার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy