মেয়েকে তিনি এত দিন কোর্টে লড়াই করতে দেখেছেন। কিন্তু কখনও কোর্টে কেঁদে ফেলতে দেখেননি।
রবিবার যেটা দেখলেন পি ভি সিন্ধুর বাবা। গ্লাসগোর ফাইনালে হারের পরে চোখের জল আটকাতে পারেননি বাইশ বছরের তরুণী। সোমবার সিন্ধুর বাবা পি ভি রামানা বলেন, ‘‘ফাইনালটা মেয়ে হেরে যাওয়ায় বাকিদের মতো আমিও হতাশ। কিন্তু ও দারুণ লড়াকু মনোভাব দেখিয়েছে। সিন্ধু যে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গিয়েছে, এটাই আমার খুব ভাল লেগেছে। ফাইনালে ওরা দু’জনই গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, ব্যাডমিন্টনের মান এখন কোথায় পৌঁছেছে।’’ এর পরেই সিন্ধুর বাবা বলেন, ‘‘মেয়েকে আমি এই প্রথম হারের পরে কাঁদতে দেখলাম।’’
প্রাক্তন ভলিবলার রামানা আরও একটা ব্যাপারে অভিভূত। সেটা হল, গোটা দেশ যে ভাবে সিন্ধুর দিকে ভালবাসা এবং সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে তিনি এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, একজন ক্রীড়াবিদের কাছে সোনা হল সোনাই। রবিবার গ্লাসগোয় ম্যাচের পরে দেখা যায় সিন্ধু-সাইনার জন্য এক জন বিশেষ ভক্ত অপেক্ষা করে ছিলেন ভিড়ের মধ্যে। তিনি অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন ক্যারোলিনা মারিনের মা, টনি মার্টিন। ভিড় করে থাকা ভারতীয় দর্শকরা অবশ্য তাঁকে সিন্ধু-সাইনার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বীর মা বলে চিনতে পারেননি। কিন্তু সিন্ধুরা ঠিকই চিনে নিয়েছিলেন। এর পর দেখা যায় সিন্ধু, সাইনার সঙ্গে তো বটেই, এমনকী সিন্ধুর মা এবং সাইনার বাবা-র সঙ্গেও সেলফি তোলেন টনি।
আরও পড়ুন: পাড়ুকোন বলছেন, সর্বসেরা সিন্ধু
এরই মধ্যে আবার সাইনার সেমিফাইনালের সূচি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে, টিভি-র সময়ের জন্য সাইনাকে আগে কোর্টে নামতে হয়েছে। যার জন্য তিনি ঠিকমতো বিশ্রাম পাননি শেষ চারের লড়াইয়ে। সাইনার কোচ বিমল কুমার অভিযোগ করেছেন, ‘‘সাইনার জন্য খুব খারাপ লাগছে। ওর কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ দেরি করে শেষ হয়। এর পর সেমিফাইনালে নামার আগে ও প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায়নি। পরের দিন সকালেই ওকে কোর্টে নামতে হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy